ক্যাটাগরি

‘কাইল মেয়ার্স, রিমেম্বার দা নেইম’

মহাকাব্যিক এই জয়ের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে
ক্যারিবিয়ান দল ও মেয়ার্স ভাসছেন স্তুতির জোয়ারে।

চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশের দেওয়া ৩৯৫ রানের লক্ষ্য তাড়া
করে ৩ উইকেটে জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশে তো বটেই, এশিয়ায়
এত বেশি রান তাড়া করে জয়ের কীর্তি আর নেই। সব মিলিয়ে টেস্ট ইতিহাসে এর চেয়ে বেশি
রান তাড়ার ঘটনা আছে মোটে চারটি।

ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি ভিভ রিচার্ডস টুইট বার্তায় লিখেছেন, এই জয় তাদের
লড়াকু মানসিকতার প্রমাণ। ৫৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়েও যে জিতেছে
তার উত্তরসূরিরা।

“কী রোমাঞ্চকর এক জয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ক্রিকেটের। আমরা কখনও হাল ছাড়ি না, আজ সেটা আবারও আমরা
প্রমাণ করলাম…টেস্ট ক্রিকেট তুমি সুন্দর।”

ক্যারিবিয়ানদের জয়ের নায়ক মেয়ার্স অপরাজিত ছিলেন ২১০
রানে। চতুর্থ ইনিংসে দলের জয়ে এর চেয়ে বড় ইনিংস টেস্ট ইতিহাসেই আছে কেবল একটি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজেরই কিংবদন্তি গর্ডন গ্রিনিজের অপরাজিত ২১৪।

টম মুডির কাছে জয়টি এসেছে বিস্ময় হয়ে। অস্ট্রেলিয়ান সাবেক
অলরাউন্ডার মেয়ার্সের প্রশংসা করেছেন টুইট বার্তায়।

“ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের জন্য কী
দুর্দান্ত এক টেস্ট জয়। সব ধরনের প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে তারা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। কাইল
মেয়ার্স এই অভিষেক মনে রাখবে। অপরাজিত ২১০, স্রেফ দুর্দান্ত।”

অভিষেকে এমন ইনিংস খেলা মেয়ার্সকে মনে রাখতে বললেন
ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ভন।

“কাইল মেয়ার্স…রিমেম্বার
দা নেইম! অভিষেক ম্যাচের চতুর্থ ইনিংসে দলের জয়ে ২১০ রানের অপরাজিত ইনিংস।”

ভারতের সাবেক ওপেনার বিরেন্দর শেবাগের কাছে, রান তাড়ার সেরা
কীর্তিগুলোর একটি ক্যারিবিয়ানদের এই জয়।

“ওয়েস্ট ইন্ডিজ, অবিশ্বাস্য।
রান তাড়া করে সেরা জয়গুলোর একটি। অভিষেকে মেয়ার্সের ২১০। বাংলাদেশের মাটিতে
তাদেরকে ৩৯৫ রান তাড়া করে হারিয়েছে। ওয়াও, ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
মনে হচ্ছে, এই বছর সফরকারী দল আধিপত্য করবে।”

আরেক ভারতীয় সাবেক ব্যাটসম্যান ভিভিএস লক্ষন টুইটে বলেন, মেয়ার্স ও
ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য এটি অনেক বড় কীর্তি।

“রান তাড়া করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ঐতিহাসিক
জয়। সব ধরনের প্রতিকূলতা সামলে বাংলাদেশকে তাদের মাটিতে ৩৯৫ রান তাড়া করে হারানো
অবিশ্বাস্য কীর্তি। অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরির জন্য কাইল মেয়ার্সকে অভিনন্দন, এবং সেটা চতুর্থ ইনিংসে! অসাধারণ অর্জন।”