সোমবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ নেন ৬৫ বছর বয়সী এই আইনজীবী, যিনি বিএনপির
যুগ্ম মহাসচিবের দায়িত্বে আছেন।
টিকা নেওয়ার পর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, “মেন্টালি বেটার ফিল করছি। টিকার কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে কি না তা বলতে পারছি না। তবে আই এম ফিলিং বেটার।”
বাংলাদেশে দেওয়া হচ্ছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের টিকা। সবাইকে এ টিকার দুটি
ডোজ নিতে হবে।
এই টিকা নিরাপদ এবং করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কার্যকর বলে প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের ওষুধ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ।
তবে বিএনপি নেতাদের
অনেকে বিভিন্ন সময়ে ভারত থেকে টিকা আনার সমালোচনা করেছেন। টিকা দিয়ে সাধারণ
মানুষকে ‘গিনিপিগ’ বানানো হবে কি না, সেই সন্দেহর কথাও বলেছিলেন কেউ কেউ।
এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন খোকন বলছেন, “কোভিড-১৯ সারা বিশ্বময় মহামারী। প্রতিষেধক হিসেবে টিকা নেওয়ার প্রয়োজন। তাই টিকা নিয়েছি। বাংলাদেশেতো একটা অপশন, আর ‘অপশন’ নেই।”
অন্য বিএনপি নেতাদের মত
খোকনও বলেন, “টিকা নিরাপদ কি না, সেটা এনশিওর করার জন্য, জনগণকে আশ্বস্ত করার জন্য বিভিন্ন দেশের সরকারপ্রধান, রাষ্ট্রপ্রধানরা… আমেরিকা এমনকি ইংল্যান্ড, রাশিয়া এবং ভারতেও সরকার প্রধান টিকা নিয়েছেন।
“মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রথম টিকা নিলে মনে হয় জনগণ আশ্বস্ত হত এই ভেবে যে এই টিকা ‘সেইফ’। সেখানে একজন নার্স দিয়ে শুরু করেছেন। আমার মনে হয় জনগণের আস্থার জন্য প্রধানমন্ত্রী নিলে ভালো হত।”
নিজে
টিকা নেওয়ার পর অন্য সবাইকেও টিকা নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন মাহবুব উদ্দিন খোকন।
বিএনপির যারা দ্বিমত পোষণ করে আসছেন, টিকার বিষয়ে তাদের প্রতি কী বার্তা দেবেন- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “দ্বিমত কে করছেন? কেউ দ্বিমত করছেন না।”
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা গত ২৭ জানুয়ারি
ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে করোনাভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এরপর রোববার শুরু হয় সারা দেশে
গণ টিকাদান।
প্রথম
দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৭০ জন টিকার প্রথম ডোজ নিলেও সোমবার সেই সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়ে
গেছে বলে জানান হাসপাতালের উপ-পরিচালক আলাউদ্দিন আল আজাদ।