গত বছর কিশোরগঞ্জের
জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী এই মামলা করেছিলেন।
নিম্ন আদালতে ব্যর্থ
হওয়ার পর হাই কোর্টে এসে জামিনের আবেদন করেন আকিব হৃদয়।
সোমবার সে আবেদনের
শুনানি পর বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাই
কোর্ট বেঞ্চ তার জামিন মঞ্জুর করে।
জামিন আবেদনের পক্ষে
শুনানি করেন আইনজীবী শাহ হাতেম আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো.
আমিনুল ইসলাম।
আমিনুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর
ডটকমকে বলেন, “সাংবাদিক আকিব হৃদয়কে ছয় মাসের অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছেন। সেই সঙ্গে
তার স্থায়ী জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেছেন আদালত।”
গত বছর ২৮ ডিসেম্বর
রাতে সাংবাদিক আকিব হৃদয়সহ মোট তিনজনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন
জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী।
ওই মামলায় আসামিদের
বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক, ভ্রাম্যমাণ আদালত ও পুলিশ সদস্যদের হুমকি এবং তাদের বিরুদ্ধে
বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ আনা হয়।
পরে জেলা প্রশাসনের
সহকারী কমিশনার ও মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উবায়দুর রহমান সাহেল স্বাক্ষরিত
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ড্রাইভিং লাইসেন্স, হেলমেট ও মাস্কবিহীন অবস্থায় মোটরসাইকেল
চালানোর অভিযোগে আকিব হৃদয়কে সড়ক পরিবহন আইনের ২০১৮ এর ৬৬ ধারায় পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা
করা হয়। মোটরসাইকেলে তার সঙ্গে মোস্তাফিজুর রহমান নামে আরেক যুবকও ছিলেন।
“এই সময় আকিব হৃদয়
নিজেকে আনন্দ টিভি ও দেশটাইম অনলাইন পোর্টালের সাংবাদিক দাবি করেন এবং তাকে জরিমানা
করায় ম্যাজিস্ট্রেট ও উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের বিভিন্ন রকম গালিগালাজ করে চাকরিচ্যুতি
ও দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।”
জেলার জ্যেষ্ঠ বিচারিক
হাকিম মো. শহীদুল ইসলাম চৌধুরী আসামি হৃদয়কে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তার পক্ষে
কেউ জামিনের আবেদন করেননি।
জেলা প্রশাসনের সংবাদ
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মামলায় আকিব হৃদয়ের পাশাপাশি মোস্তাফিজুর রহমান ও মনোয়ার হোসেন
রনি নামে আরও দুজনের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ করা হয়।
পরে ২৫ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জের
দায়রা জজ আদালতে আকিব হৃদয়ের জামিন আবেদন খারিজ হলে তিনি হাই কোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন
করেন।
সে আবেদনের শুনানির
পরই তার জামিন হল।
গত ৩ জানুয়ারি থেকে
কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসকের দায়িত্বে আছেন মোহাম্মদ শামীম আলম।