ফেনী জেলা
ও দায়রা জজ বেগম জেবুন্নেছা সোমবার এই রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত
তিনজন হুমায়ুন হাছান রাকীব (৩৭), আবদুর রহমান মানিক (৩৬) ও আবু তৈয়ব বাবলু (২৯)।
যাবজ্জীবন দণ্ডিত
হয়েছেন সুমন চন্দ্র রায় (৩৯)।
রায় ঘোষণার
সময় আবদুর রহমান মানিক আদালতে উপস্থিত ছিলেন; বাকি তিনজন পলাতক।
রায়ে দণ্ডিত
চারজনের প্রত্যেককে ৪০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডও করা হয়েছে।
মামলার
বরাত দিয়ে ফেনী জজ আদালতের পিপি হাফেজ আহমেদ জানান, ২০১০ সালের ১৮ নভেম্বর সন্ধ্যায়
সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক মুলকত আহাম্মদ ওরফে কালা মিয়া (২৭) ভাড়া নিয়ে ফেনীর পরশুরাম
থেকে ফুলগাজী উপজেলার মুন্সিরহাটের উদ্দেশে রওনা হন। মুন্সিরহাটে পৌঁছানোর পর সেখান
থেকে আরও তিনজন যাত্রীবেশী দুর্বৃত্ত অটোরিকশায় ওঠেন।
পিপি হাফেজ
জানান, রাত ১২টা পর্যন্ত কালা মিয়া বাড়ি না ফেরায় স্বজনরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। ওইদিন
রাত ৩টার দিকে ফুলগাজীর জগতপুর সড়কের ধলিয়া টুক্কু মিয়ার পুলের পশ্চিম পাশে পানি থেকে
তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
এই ঘটনায় নিহতের
বড়ো ভাই ফখরুল আহাম্মদ মজুমদার বাদী হয়ে ফুলগাজী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলার তদন্ত
কর্মকর্তা ফুলগাজী থানার তৎকালীন পরিদর্শক (তদন্ত) সৈয়দুল মোস্তফা
২০১১ সালের ২৮ মে ওই মামলায় ২০ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন এবং ২০১২
সালের ২৫ জুলাই অভিযোগ গঠিত হয় বলে পিপি জানান।
পিপি
জানান, অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ২০ আসামির মধ্যে ১৬ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
আসামিপক্ষে
মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী সাইফুদ্দিন মজুমদার।