এই ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সারা দেশে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষের বাইরে বের হওয়া বন্ধের মধ্যে নিত্যপণ্যের দোকান ও ফার্মেসিতে আসা ক্রেতাদের মধ্যে কীভাবে দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়াতে হবে তা দেখিয়ে দিয়েছেন তারা।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের রাউজান, পটিয়া ও সাতকানিয়ার স্থানীয় প্রশাসন এই তিন উপজেলার বিভিন্ন স্থানে দোকানের সামনে এক মিটারের বেশি দূরত্বে বৃত্তাকারে চিহ্নিত করে দেন। ক্রেতাদের গিয়ে ওই সব বৃত্ত চিহ্নিত জায়গার উপর দাঁড়াতে হচ্ছে, যাতে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিংয়ে ন্যূনতম দূরত্ব বজায় থাকছে।
রাউজানের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবীর সোহাগ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পৌর সদরের ফকিরহাট ও মুন্সিরঘাটা এলাকায় এবং বিনাজুরি ইউনিয়নের কাগতিয়া বাজারে নিত্যপণ্যের দোকান ও ওষুধের দোকানের সামনে ‘ডিসট্যান্সিং ’ নিশ্চিত করতে আমরা রঙ দিয়ে চিহ্নিত করেছি।
“আগামীকালও এই কার্যক্রম চলবে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের বলেছি এ বিষয়ে সচেতন থাকতে।”
পটিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা জাহান উপমা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সদরের পোস্ট অফিস এলাকা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায় ওষুধের দোকান গুলোতে এক মিটার দূরত্বে চিহ্নিত করা হয়েছে। লোকজনকে এটা মেনে চলতে বলা হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেনের নির্দেশে আমরা চট্টগ্রামের সবগুলো উপজেলায় এটা বাস্তবায়ন করব। আজ কয়েকটি উপজেলায় করা হয়েছে। আগামীকাল নগরীতে শুরু হবে।”
তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশে টানা ১০ দিনের ছুটি শুরু হয়েছে। গণপরিবহন চলাচল বন্ধ আছে। জনসমাগম ঠেকাতে স্কুল-কলেজসহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটি দেওয়া হয়েছে। অফিস-আদালতও বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
“এই ছুটিতে যারা নিত্যপণ্য ও জরুরি ওষুধ কিনতে বাজারে, মুদি দোকানে বা ওষুধের দোকানে যাচ্ছেন তাদের মধ্যে দূরত্ব বজায় রাখতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”