ক্যাটাগরি

ইইউ’র সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের হুঁশিয়ারি রাশিয়ার

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ শুক্রবার পররাষ্ট্র দফতরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

রাশিয়ার সঙ্গে পশ্চিমা দেশগুলোর সম্পর্ক এমনিতেই স্নায়ুযুদ্ধকালের পর সম্প্রতি তলানিতে ঠেকেছে।

এর মধ্যে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সমালোচক হিসাবে পরিচিত বিরোধীদলীয় নেতা অ্যালেক্সি নাভালনি গ্রেপ্তার ও তার কারাদণ্ড নিয়ে রাশিয়া-পশ্চিমা বিশ্ব সম্পর্কের আরও চরম অবনতি হয়েছে।

মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ভাবছে পশ্চিমা দেশগুলো। ইউরোপীয় তিন কূটনীতিক বৃহস্পতিবার রয়টার্সকে বলেছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের মিত্রদের সম্পদ জব্দ করা এবং তাদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে ইইউ।

মস্কো গত সপ্তাহে নাভালনির সমর্থনে বিক্ষোভে সামিল হওয়ার অভিযোগে জার্মানি, পোল্যান্ড এবং সুইডিশ কূটনীতিকদেরকে বহিষ্কার করার পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য চাপ বেড়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেলের রাশিয়া সফরের মধ্যেই তাকে কিছু না জানিয়ে মস্কো ইউরোপীয় কূটনীতিকদের বহিষ্কার করেছিল। এরপরই এর একটি জবাব রাশিয়াকে দেওয়া উচিত বলে দাবি করে ফ্রান্স এবং জার্মানি।

শুক্রবারের সাক্ষাৎকারে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভকে প্রশ্ন করা হয়েছিল মস্কো কি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের পথে এগোচ্ছে?  জবাবে ল্যাভরভ বলেন, “আমরা এর জন্য প্রস্তুত আছি; যদি আমরা আবারও কিছুখাতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং এর ফলে আমাদের অর্থনীতি ঝুঁকিতে পড়তে দেখি।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা বিশ্ব থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে চাই না, কিন্তু আমাদের এর জন্য তৈরি থাকতে হবে। শান্তি চাইলে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে হবে।”

এর আগে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি মেদভেদেভও এক কনফারেন্স কলে বলেছিলেন, “আমরা আমাদের অবকাঠামো এবং স্বার্থে চরম ধ্বংসাত্মক কোনও পরিস্থিতির মুখোমুখি হলে অবশ্যই রাশিয়াকে ওইরকম অবন্ধুসুলুভ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আগে থেকেই প্রস্তুত থাকতে হবে।”

পরে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভ বলেন, “ব্রাসেলস ভাঙন ধরানোর মতো ওইরকম কিছু শুরু করলে মস্কো তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে প্রস্তুত থাকবে।”