বিবিসি জানায়, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপ প্রেস সচিব টি জে ডকলো সম্প্রতি পলিটিকোর রিপোর্টার তারা পামেরিকে ওই হুমকি দেন। পামেরি আরেক সাংবাদিকের সঙ্গে ডকলোর সম্পর্কের গুঞ্জন নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরির কাজ করছেন।
শুক্রবার হোয়াইট হাউজের প্রেসসচিব জানান, ওই ঘটনার পর ডকলো সাংবাদিক পামেরির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।
শুক্রবার এক টুইটে তিনি লেখেন, ‘‘ডকলো নিজেই প্রথমে স্বীকার করেছেন, তিনি প্রেসিডেন্টের বেঁধে দেওয়া আচরণবিধি অনুসরণ করতে পারেননি।”
এক সপ্তাহের জন্য বিনা বেতনে বরখাস্ত করা ছাড়াও কাজে ফেরার পর ডকলো আর কখনো পলিটিকোর রিপোর্টারদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন না বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে ডকলো ব্যক্তিগতভাবে কোনো মন্তব্য করেননি বলে জানায় বিবিসি।
ডকলোর সঙ্গে এক্সিওস এর সাংবাদিক আলেক্সি ম্যাককমান্ডের সম্পর্কের গুঞ্জন নিয়ে কাজ করছেন পামেরি।
ভ্যানিটি ফেয়ার ম্যাগাজিনে ডকলো কাণ্ড নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ পায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পামেরিকে ফোন করে ডকলো বলেছেন, ‘‘আমি আপনাকে ধ্বংস করে দিব।” তিনি ফোনে আরো অবমাননাকর এবং উদভ্রান্ত কথা বলেছেন বলেও ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়।
ডকলোকে সাময়িক বরখাস্ত করার হলেও অনেকে তাতে সন্তুষ্ট হতে পারেননি। তাদের মতে, প্রেসিডেন্ট বাইডেন এক্ষেত্রে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থ হয়েছেন।
Btw this isn’t just a violation of the Biden pledge, or his broader promise of decency. I’ve had verbal fights with press secretaries for more than 20 years and no one has ever spoken to me like this. It’s misogyny and emblematic of the double standard women reporters face. https://t.co/Zy0V3nHDdo
— Jake Tapper (@jaketapper) February 12, 2021
ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম দিনই প্রেসিডেন্ট বাইডেন দৃঢ়ভাবে তার কর্মীদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন, হোয়াইট হাউজের কোনো কর্মী যদি সহকর্মীর সঙ্গে অসম্মানজনক আচরণ করেন তবে তাকে ‘সঙ্গে সঙ্গে চাকরিচ্যুত’ করা হবে।
বাইডেন বলেছিলেন, ‘‘আমি একদমই মজা করছি না: যদি এমনকি আপনি আমার সঙ্গেও কাজ করেন এবং আমি শুনতে পাই, আপনি অন্য সহকর্মীর সঙ্গে অসম্মানজনক আচরণ করেছেন, তবে অন্য কারো সঙ্গে কথা বলুন। কারণ, আমি তখনই আপনাকে চাকরিচ্যুত করবো। আমি কোনো যদি, এবং, কিন্তু শুনবো না।”