শনিবার সিরডাপ মিলনায়তনে
‘ঢাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা ও খাল আধুনিকায়ন’ বিষয়ক নগর সংলাপে একথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, “আমরা
সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য ভেনিস, সিঙ্গাপুর অথবা সান্তোসা বেড়াতে যাই। এমন একটি শহর
গড়ার স্বপ্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেখেছেন। প্রধানমন্ত্রীর এই স্বপ্ন পূরণের জন্য
আমি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের দুই মেয়রকে নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।”
তিনি বলেন, ঢাকাকে
বাসযোগ্য আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন শহরে রূপান্তরিত করতে হাতিরঝিল থেকে বনানী ও ইউনাইটেড
হাসপাতাল পর্যন্ত ‘ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট’ চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
“এই উদ্যোগ বাস্তবে
রূপ দিতে প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। এর সাথে নগর পরিকল্পনাবিদ, স্থপতিসহ সকল বিশেষজ্ঞদের
অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ঢাকা শহরে যতগুলো খাল আছে তাতে একটি হাতিরঝিল নয় এ রকম অনেক
হাতিরঝিল নির্মাণ করা সম্ভব। এ ব্যাপারে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।”
ঢাকাকে আধুনিক ও বাসযোগ্য
নগর হিসেবে গড়ে তুলতে রাজউক যে ২০ বছর মেয়াদি বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) প্রণয়ন
করছে, সেখানে আহ্বায়কের দায়িত্বে আছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী।

শহরে কত মানুষ বসবাস
করবে সে অনুযায়ী পরিকল্পনা নেওয়ার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে তিনি বলেন, “পূর্বাচলে ১০
লক্ষ মানুষের বসবাসের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু সেখানে যদি ৫০ লাখ মানুষ বসবাস
করে তাহলে তা আর বাসযোগ্য থাকবে না।”
ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনের
দায়িত্ব দুই সিটি করপোরেশনের হাতে যাওয়ার পর মেয়ররা ইতোমধ্যে খাল উদ্ধারে উচ্ছেদ শুরু
করেছেন বলে জানান তিনি।
দখলদারদের কোনো ধরনের
ছাড় না দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে মন্ত্রী বলেন, “ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে, খাল দখল করে তার
উপরে বিল্ডিং বানানো হয়েছে। যারা এসব করেছে তারা যত ক্ষমতাশালী হোক না কেন আইন অনুযায়ী
প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সবাইকে সাথে নিয়ে ঢাকা শহরের খালসমূহ উদ্ধার করা
হবে।”
বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে
ঢাকা শহরের অন্যতম সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে তিনি বলেন, “এটি সমাধান করার জন্য আমি
মন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কাজ আরম্ভ করা হয়েছে। বিভিন্ন
দেশের অভিজ্ঞতার আলোকে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা এটিকে অনুমোদন দিয়েছেন।
“এটি চালু হলে বর্জ্য
ব্যবস্থাপনায় আমূল পরিবর্তন আসবে। বর্জ্য কালেকশনেও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।”
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ
ইনস্টিটিউট অব প্লানার্স-বিআইপির সভাপতি ড. আকতার মাহমুদ, ইনস্টিটিউট অফ ওয়াটার অ্যান্ড
এনভায়রনমেন্টের চেয়ারম্যান এম এনামুল হক, স্থপতি ইকবাল হাবিব, পরিকল্পনাবিদ আদিল
মোহাম্মদ খান এবং ড্যাপের প্রকল্প পরিচালক আশরাফুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।