বুধবার দায়িত্ব গ্রহণের
তৃতীয় দিনে সিসিসির পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মকর্তা ও সুপারভাইজারদের সাথে এক বৈঠকে তিনি
এই হুঁশিয়ারি দেন।
বৈঠকে প্রধান অতিথির
বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল বলেন, “আমার ১০০ দিনের অগ্রাধিকার দেওয়া কর্মসূচি
নিয়ে কাজ শুরু করব। কর্মসূচির মধ্যে থাকবে নগরকে মশা মুক্ত করা, পরিষ্কার- পরিচ্ছন্ন
রাখা ও ভাঙা রাস্তা-ঘাট মেরামত করা।
“যারা আন্তরিকতা ও
দায়িত্বশীলতার সাথে কাজ করবেন, তাদের আমি সব ধরনের সহায়তা করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।
আর যদি কেউ দায়িত্ব পালনে অবহেলা করেন তাহলে কোনো ছাড় নাই। কারণ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের
পরচ্ছিন্ন বিভাগ নিয়ে নগরবাসীর অভিযোগ বেশি। কাজেই এই অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণ করতে আন্তরিকভাবে
কাজ করবেন এটাই প্রত্যাশা।”
রেজাউল বলেন, “অতীতে
কী হয়েছে, কী হয়নি এটা আমার কাছে বিবেচ্য নয়। এখন থেকে আপনারা শতভাগ আন্তরিক হয়ে কাজ
করবেন, এটা আমার প্রত্যাশা। আমি আগামীর চট্টগ্রাম নগরীকে বাংলাদেশের মডেল শহরে পরিণত
করতে চাই। কাজেই আপনারা সেভাবে কাজ করতে মানসিক প্রস্তুতি গ্রহণ করুন।”
সিসিসির প্রধান নির্বাহী
কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে ও অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা
মোর্শেদুল আলম চৌধুরীর সঞ্চালনায় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সিসিসির আঞ্চলিক কার্যালয় জোন-৬
এর নির্বাহী কর্মকর্তা আফিয়া আকতার, মেয়রের একান্ত সচিব মো. আবুল হাশেম প্রমুখ।
এদিকে বুধবার বিকেলে
কর বিভাগের কর্মকর্তা ও উপ-কর কর্মকর্তাদের সাথে এক সভায় মেয়র রেজাউল বিত্তশালী নগরবাসীর
উদ্দেশে বলেন, “আয় থাকলে পৌর কর (হোল্ডিং ট্যাক্স) দিতে হবে। আপনারা শহরে বাস করবেন,
বহুতল ভবন বানিয়ে ভাড়া দেবেন অথচ পৌরকর চাইতে গেলে দেবেন না এ কেমন মানসিকতা!
“দেশে কোনো ব্যক্তি
আইনের ঊর্ধ্বে নন। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কোনো ধরনের পৌরকর বৃদ্ধি করেনি। পূর্বের
রেইটে কর আদায় করছে। শুধু করের আওতা বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থাৎ কোনো ভবন একতলা থেকে যদি
পাঁচতলা হয় তবে সেক্ষেত্রে ফ্ল্যাট ভাড়া দিলে তাহলে ওই বর্ধিত আয়ের কারণে করের আওতা
বাড়বে।”
সভায় রাজস্ব কর্মকর্তা
মফিদুল আলম জানান, নগরীতে ১ লাখ ৯৭ হাজার হোল্ডিয়ের বিপরীতে আটটি সার্কেলে মোট ১৬ জন
কর কর্মকর্তা এবং ৫৫ জন লাইসেন্স ইন্সপেক্টর কর্মরত আছেন।
নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের
মধ্যে ১৬টি ওয়ার্ডের ১৪ শতাংশ এবং বাকি ২৫টি ওয়ার্ডে ১৭ শতাংশ হারে পৌরকর আদায় হয়।
সর্বশেষ ২০১১ সালে কর পুনর্মূল্যায়ন করা হয়।
প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা
মফিদুল আলম জানান, চট্টগ্রাম বন্দরের কাছ থেকে ১৬০ কোটি টাকা দাবির প্রেক্ষিতে ৩৯ কোটি,
রেল কর্তৃপক্ষের কাছে ৭৫ কোটি টাকা দাবির প্রেক্ষিতে ৩৬ কোটি টাকা পাওয়া গেছে। আর কর্ণফুলী
মার্কেটে চার কোটি ৫ লাখ টাকা, এশিয়ান কটন মিলে ২৫ লাখ টাকা এখনও বকেয়া আছে। এ রকম
আরও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের হোল্ডিং ট্যাক্স বকেয়া রয়েছে।
সভায় সিসিসির প্রধান
নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, রাজস্ব কর্মকর্তা শাহেদা ফাতেমা চৌধুরী
ও মেয়রের একান্ত সচিব মো. আবুল হাশেম বক্তব্য রাখেন।