ক্যাটাগরি

নড়াইলে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি

বুধবার বিকেলে নড়াইলের সদর আমলি আদালতের বিচারক আমাতুল মোর্শেদা এ আদেশ
দেন।

নড়াইল জজ আদালতের পিপি আইনজীবী ইমদাদুল ইসলাম জানান, শহীদদের নিয়ে বিরূপ
মন্তব্যে করা পৃথক দুইটি মানহানি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং স্থায়ী
কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।

মামলা দুইটির সমন জারি হয়ে ফেরত আসায় এবং আসামিরা আদালতে উপস্থিত না হওয়ায়
বুধবার তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদলতে বলে জানান তিনি।

২০১৫ সালের ২৯ ডিসেম্বর নড়াইলের কালিয়া উপজেলার যাদবপুর গ্রামের শেখ ওয়াজেদ
আলীর ছেলে এবং শহীদ শেখ জামাল জাতীয় স্মৃতি পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শেখ আশিক
বিল্লাহ এ মামলা দুইটি করেছিলেন।

মামলার বিবরণ থেকে পিপি ইমদাদুল জানান, ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায়
ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের এক সমাবেশে বেগম খালেদা জিয়া মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ৩০ লক্ষ
শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন।

এছাড়া একই সমাবেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ না করে ইঙ্গিত
করে খালেদা জিয়া বলেছিলেন, তিনি [বঙ্গবন্ধু] স্বাধীনতা চাননি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী
হতে চেয়েছিলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ চাননি।

এর চারদিন পর ২৫ ডিসেম্বর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র
রায় ঢাকায় দলীয় এক আলোচনায় সভায় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের সর্ম্পকে বলেছিলেন, “তারা নির্বোধের
মত মারা গেল, আমাদের মতো নির্বোধরা প্রতিদিন শহীদ বুদ্ধিজীবী হিসাবে ফুল দেয়, না গেলে
আবার পাপ হয়।”

তাদের ওই বক্তব্য বিভিন্ন সংবাপত্র ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় প্রচার হয়।
এ খবর পড়ে মারাত্মকভাবে ক্ষুব্ধ হয়ে মামলার বাদী নড়াইল সদর আমলী আদালতে পৃথক দুইটি
মামলা করেন বলে জানান আইনজীবী ইমদাদুল।

এসব মামলার বাদী শেখ আশিক বিল্লাহ বলেন, “আমি মুক্তিযুদ্ধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল
একজন ব্যক্তি। তাদের এ ধরণের বক্তব্যে মর্মাহত হয়ে আমি মামলা দুইটি দায়ের করেছি।”