বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম সাইদুর রহমান সাঈদের আদালতে এ মামলা করের সুজন শেখ।
মামলার বাদী ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ভাড়ইভাংগা গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে সুজন শেখ বলেন, কোনো কারণ ছাড়াই মোবাইল থেকে বিকাশের মাধ্যমে নগদ ১ লাখ ১০ হাজার টাকা তুলে নেয় ওই দুই পুলিশ সদস্য। যার প্রমাণ আদালতে মামলার নথিতে দেওয়া হয়েছে।
“মূলত তারা ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে এই টাকা নিয়েছে।”
এ মামলার আসামিরা হলেন, দত্তপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই মাহাবুব, কনস্টেবল সোহাগ এবং শিবচরের সূর্য্যনগর এলাকার টুম্পা টেলিকম এ্যান্ড মোবাইল কর্নারের প্রোপাইটর টোকান বেপারী।
মামলার এজাহারের বলা হয়, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি দুপুর ৩টার দিকে পদ্মাসেতু ভ্রমণ করে মোটরসাইকেলে বাড়িতে ফিরছিলেন ব্যবসায়ী সুজন।
মাঝপথে মাদারীপুরের শিবচরের সূর্য্যনগর এলাকায় সুজনের মোটরসাইকেল থামিয়ে দত্তপাড়া সাদা পোশাকে থাকা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই মাহাবুব ও কনস্টেবল সোহাগ কাগজপত্র দেখতে চান। সুজন কাগজপত্র দেখান।
তবে কাগজ সঠিক নয় বলে মোটরসাইকেলটি চোরাই বলে দাবি করেন পুলিশ সদস্যরা। পরে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন ওই দুই পুলিশ সদস্য।
চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সুজনকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখান মাহাবুব ও সোহাগ।
পরে সুজনের সাথে থাকা মোবাইল থেকে পাশের টোকান বেপারীর দোকান থেকে বেশ কয়েকটি মেসেজের মাধ্যমে এক লাখ ১০ হাজার টাকা তুলে নেয় দুই পুলিশ সদস্য।
এ ঘটনা কাউকে না বলার শর্তে সুজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সেইদিনই এ ঘটনায় শিবচর থানায় মামলা করতে গেলে কোনো পরামর্শ না দিয়ে পুলিশ তাকে চলে যেতে বলে।
পরে সুজন শেখ বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার এ মামলটি করেন।
মামলাটির শুনানি শেষে বিচারক তারিখের জন্য দিনধার্য রেখেছেন।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মো. আব্দুল হান্নান জানান, ব্যক্তিগত কোনো দায়ভার বাংলাদেশ পুলিশ নেবে না। যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, মামলার কপি হাতে পেলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।