শুক্রবার
তারা এ দুঃখজনক মাইলফলক
অতিক্রম করে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে
বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
অন্য
অনেক মহাদেশের তুলনায় করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা কম হলেও সংক্রমণের
দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার পর রোগীর চাপে
আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের হাসপাতালগুলোকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
রয়টার্সের
হিসাব অনুযায়ী, আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের কর্তৃপক্ষের দেওয়া হিসাবে শুক্রবার পর্যন্ত কোভিড-১৯ এ এক
লাখ ৩৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। উত্তর আমেরিকায় এ সংখ্যা ৫
লাখ ছাড়িয়ে গেছে। ইউরোপের দেশগুলোতে করোনাভাইরাসে মৃত্যু ৮ লাখ পেরিয়ে
৯ লাখের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
আফ্রিকার
দক্ষিণ অংশে সংক্রমণের হার অন্য অংশের তুলনায় বেশি দেখা যাচ্ছে; দ্বিতীয় ঢেউ এবং অধিক সংক্রামক ধরনের কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার বিভিন্ন হাসপাতালের ক্যাজুয়েলটি ওয়ার্ড উপচে পড়ছে।
“সংক্রমণ
বাড়ায় গুরুতর আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও অনেক হচ্ছে, কিছু কিছু দেশ এর সঙ্গে মানিয়ে
নিতে পারছে না,” বলেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আফ্রিকা কার্যালয়ের টিকাদান কর্মসূচির সমন্বয়ক রিচার্ড মিহিগো।
দক্ষিণ
আফ্রিকার পাশাপাশি জিম্বাবুয়ে, মোজাম্বিক, মালাউয়িতেও ভাইরাসে মৃত্যু বেড়েছে। মিহিগোর ধারণা, দক্ষিণ আফ্রিকায় গত বছরের শেষদিকে
শনাক্ত ৫০১ওয়াই.ভি২ ধরনটি আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলজুড়ে ছড়িয়ে পড়ায় সাম্প্রতিক মাসগুলোতে কোভিড-১৯ এ মৃত্যু
বাড়ছে। অবশ্য এটি নিশ্চিত হতে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন আছে।
চলতি
মাসে ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলে দ্রুত ভ্যাকসিন সরবরাহে তাগাদা দিয়েছে; মহাদেশটির অনেক দেশই টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে ধনী পশ্চিমা দেশগুলোর তুলনায় অনেক পিছিয়ে আছে।
কম
শনাক্তকরণ পরীক্ষার কারণে মহাদেশটিতে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী
ও মৃত্যুর সঠিক সংখ্যা পাওয়াও কঠিন।
“আমরা
কি মহাদেশের সব মৃত্যুর হিসাব
রাখতে পারছি? না। মহাদেশটির বেশিরভাগ মানুষই এখন সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে মৃত কাউকে না কাউকে চেনে,”
গত সপ্তাহে সাংবাদিকদের এমনটাই বলেছেন আফ্রিকার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের
পরিচালক জন এনকেংগাসং।
“ভঙ্গুর
স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কারণে হাসপাতালগুলোতে (রোগী) উপচে পড়ছে,” বলেছেন তিনি।