ক্যাটাগরি

গোপালগঞ্জে শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিধবার জমি দখলের অভিযোগ

উপজেলার ডুমুরিয়া ইউনিয়নের লেবুতলা গ্রামের মিঞ্জিল শেখের দ্বিতীয় স্ত্রী বিধবা শামসুন নাহার এই অভিযোগ করেছেন ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তরের একাডেমিক সুপারভাইজার বদরুল আমীনের বিরুদ্ধে।

বদরুল আমীন পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার প্যানাখালি গ্রামের বেলায়েত হোসেন হাওলাদারের ছেলে।

শামসুন নাহার বলেন, তার স্বামীর ১৮ শতাংশ ভিটি জমি ছিল। স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি ও তার ছেলেমেয়েরা ভাগে ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ জমি পান। বাকিটা পান তার সতিন কোহিনূর ও তার ছেলেমেয়েরা পান।

“কোহিনূর ও তার ছেলেমেয়েরা তাদের সব জমি বদরুল আমীনের কাছে বিক্রি করেছেন। বদরুল ওই জায়গা দখল করতে এসে আমাদের জায়গাসহ পুরো ১৮ শতাংশ জমি দখল করে আমাদের উৎখাতের চেষ্টা করছেন। বৃহস্পতিবার বদরুলের লোকজন এসে আমার ঘর ভেঙ্গে দেয়। সেই জায়গায় তারা একটি ঘর তৈরি করেছে।”

শামসুন নাহার অভিযোগ করেন, “বদরুল ও তার লোকজন আমার মেয়ে রেখাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে।”

পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা ও গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলা পাশাপাশি।

শিক্ষা কর্মকর্তা বদরুল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

তিনি বলেন, “আমি যতটুকু সম্পত্তি ক্রয় করেছি ততটুকুই আমি দখল করছি। ভরাট করতে গেলে অন্যের জায়গায় বালু যেতে পারে।”

ঘর ভাঙা সম্পর্কে তিনি বলেন, “আমি এখন ব্যস্ত আছি। পরে আপনাদের সঙ্গে সাক্ষাতে কথা বলব।”

শামসুন নাহার এখনও থানায় অভিযোগ দেননি। অভিযোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন।

টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি এএফএম নাসিম বলেন, ঘর ভাঙার বিষয়টি  শুনেছি। যাতে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি না ঘটে সেজন্য দুই পক্ষকে সতর্ক করা হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় কোনো পক্ষ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা  গ্রহণ করা হবে।