কোনো উত্তরসূরি নির্বাচন ছাড়াই গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট মোহামেদ আব্দুল্লাহি মোহামেদের মেয়াদ শেয় হওয়ার পর দেশটিতে রাজনৈতিক সংকট শুরু হয়। বিরোধীদলগুলো তার পদত্যাগ দাবি করছে।
বিবিসি জানায়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের কাছে সেনাবাহিনীর অবস্থানে হামলা চালায় মিলিশিয়ারা। এরপর নগরীর অধিকাংশ সড়ক বন্ধ করে দিয়ে স্পেশাল ফোর্স মোতায়েন করা হয়।
শুক্রবার বিরোধীদলগুলোর ডাকা প্রতিবাদ সমাবেশকে ঘিরে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
রাজনৈতিক অচলাবস্থা অবসানের চেষ্টার অংশ হিসেবে প্রেসিডেন্ট মোহামেদ সোমালিয়ার পাঁচটি অঞ্চলের সভাপতিদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মোগাদিশু থেকে বিবিসির প্রতিনিধি বেলা হাসান জানিয়েছেন, মোগাদিশুর বিভিন্ন অংশে ব্যাপক গোলাগুলি হচ্ছে।
বিরোধীদলের যে সব নেতারা মিছিল নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তাদের মধ্যে বিরোধীদলীয় প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী আব্দিরহমান আব্দিশাকুও ছিলেন।
কিছু প্রতিবাদকারীকে ছত্রভঙ্গ করার জন্য নিরাপত্তা বাহিনী প্রথমে ফাঁকা গুলি ছুড়েছিল।
দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী হাসান আলি খাইরে ফেইসবুকে জানিয়েছেন, একটি ‘হত্যা চেষ্টা’ থেকে বেঁচে গেছেন তিনি।
শেষ খবর পর্যন্ত প্রতিবাদ ও গোলাগুলির বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য আসেনি।
মোগাদিশুতে ব্যাপক গোলাগুলি ও নগরীর আদেন আদ্দে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দেয়ালে গোলা এসে পড়ার পর থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল স্থগিত রাখা হয়েছে।
সোমালিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী ও বিরোধীদলগুলোর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় জাতিসংঘ ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছে।
বিশ্ব সংস্থাটি দেশটির সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে ‘শান্ত ও সংযত’ থাকার আহ্বান জানিয়েছে।