এক
বছরের বেশি সময় ধরে মহামারী আকারে দাপট বজায় রাখা করোনাভাইরাস এরমধ্যে রূপ পাল্টেছে
অনেকবার। রোগের ধরন, লক্ষণ ইত্যাদিতে বিভিন্ন পরিবর্তন দেখা গেছে।
দেশে
টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে ঠিক, তবে রোগের প্রকোপ এখনও বিদ্যমান। তাই সচেতনতায় অবহেলা করা
চলবে না।
স্বাস্থ্যবিষয়ক
একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনের আলোকে জানানো হলো কোভিড-১৯’য়ের পুরানো ও নতুন কিছু উপসর্গ
সম্পর্কে।
সাধারণ লক্ষণ
করোনাভাইরাসের
প্রকোপ দেখা দেওয়ার শুরু থেকে ‘কোভিড-১৯’য়ের সাধারণ উপসর্গ ছিল জ্বর, কফ এবং স্বাদ
ও গন্ধের অনুভূতি হারানো। এছাড়াও শারীরিক তাপমাত্রার বৃদ্ধিকে ভাইরাস সংক্রমণের একটি
উপসর্গ হিসেবে গন্য করা হচ্ছে।
নতুন এবং ভিন্ন উপসর্গ
সাধারণ
উপসর্গগুলো সম্পর্কে এখন সবারই জানা থাকলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রাণঘাতি এই রোগের পূর্বাভাস
সম্পর্কে আরও গভীর জ্ঞান থাকা জরুরি।
যেখানে
করোনাভাইরাস নিয়ত পরিবর্তনশীল, সেখানে শুধু সাধারণ উপসর্গের দিকে নজর রাখা যথেষ্ট হবে
না। এতে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে।
যুক্তরাজ্যের
চিকিৎসকরা কয়েকটি নতুন উপসর্গের ব্যাপারে জানিয়েছেন। সেগুলো হল-
গলা
ব্যথা। পেশি ও হাড়ের জোড়ে ব্যথা। ডায়রিয়া। মাথাব্যথা। ত্বকে র্যাশ। হাত-পায়ের আঙুলে
রং পরিবর্তন।
যুক্তরাজ্যের
ওয়ারিংটনের জনস্বাস্থ্য পরিচালক থারা রাজ বলেন, “এমনটা অসংখ্য ঘটেছে যে একজন রোগীর
খুব সামান্য উপসর্গ থাকলেও পরীক্ষায় দেখা গেছে তিনি করোনাভাইরাস সংক্রমণের শিকার। অনেক
সময় সাধারণ উপসর্গের কোনোটাই তার ছিলনা বরং তার লক্ষণ ছিল একেবারেই ভিন্ন।”
“ওয়ারিংটনের
বাসিন্দাদের মধ্যে যারা সামান্য অসুস্থতা বোধ করার সঙ্গে সঙ্গেই পরীক্ষা করিয়েছেন তারা
এই ভাইরাসের সংক্রমণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।”
আরও পড়ুন
করোনাভাইরাস: শিশুদের মাঝে দেখা দেওয়া উপসর্গ
করোনাভাইরাস: স্বাভাবিক জীবনযাত্রা কবে ফিরবে?