শুক্রবার ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে জেলে ও পুলিশ জানায়।
এই সময় মুখোশধারী ১২ থেকে ১৫ জন ‘জলদস্যু’ ওই ট্রলারে থাকা সাত জেলেকে পিটিয়ে আহত করে বলে জেলেরা জানান।
হামলায় আহত জেলেরা হলেন ট্রলারের মালিক মো. জাকির সরদার, জেলে কাওছার হোসেন, মো. আরিফ হোসেন, জামাল হোসেন, রাসেল আকন, ইলিয়াস হোসেন ও সিফাত খান।
তাদের পটুয়াখালীর কুয়াকাটা উপজেলায় প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
‘এফবি সুফিয়া’ নামের ওই ট্রলারের মালিক জাকির সরদার বলেন, সুন্দরবন সংলগ্ন বলেশ্বর নদের মোহনায় মাছ ধরার জন্য অপেক্ষা করছিলেন তারা। রাত সাড়ে ৩টার দিকে নামবিহীন একটি ট্রলারে ১২ থেকে ১৫ জন ‘মুখোশধারী জলদস্যু’ তাদের ট্রলারে উঠে যায়। তাদের হাতে পাইপগান ছিল।
“এই সময় আমাদের সাত জেলেকে পাইপগান দিয়ে পিটিয়ে আহত করে তারা। পরে পার্শ্ববর্তী অন্য একটি নামবিহীন ছোট নৌকায় আমাদের উঠিয়ে দিয়ে আমাদের ট্রলারসহ অন্তত ৫০ হাজার টাকার মাছ ও সামগ্রী লুটে নিয়ে যায়।”
প্রত্যেকের হাতে পাইপগানসহ দেশি অস্ত্র ছিল বোঝা গেলেও অন্ধকারে তাদের চেনা যায়নি বলে তিনি জানান।
তিনি আরও বলেন, নামবিহীন ওই ট্রলারের জেলেদের সহযোগিতায় কুয়াকাটা পৌঁছানোর পরে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে পাথরঘাটার উদ্দেশে রওনা হন তারা।
পটুয়াখালীর মহিপুরের মেসার্স প্যাদা ফিসের মালিক মিজানুর রহমান প্যাদা বলেন, “আমরা সাতজনকে চিকিৎসা দিয়ে গাড়িতে করে পাথরঘাটা পাঠিয়ে দিয়েছি।”
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, “ডাকাতির খবর আমরা শুনেছি আইনের আশ্রয় নেওয়ার জন্য ট্রলার মালিককে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।”
পাথরঘাটা থানার ওসি মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, “ট্রলার ছিনতাইয়ের একটি ঘটনা শুনেছি। লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”