যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক
প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন হুয়াওয়েকে তাদের দেশের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি
হিসেবে তকমা দেওয়ার পর চীনা টেলিকম জায়ান্টের ব্যবসা বাধার মুখে পড়ে।
স্মার্টফোন বিক্রি
নিয়ে জটিলতার মুখে পড়ার পর হুয়াওয়ে রাজস্বের জন্য অন্যান্য উপায় খুঁজছে।
শূকরের ফার্মে কৃত্রিম
বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহারের পাশাপাশি তারা কয়লা খনি শিল্প নিয়েও কাজ করছে।
প্রেসিডেন্ট থাকাকালে
ডনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন, হুয়াওয়ে গ্রাহকদের তথ্য চীন সরকারকে দিয়ে থাকতে পারে। এই
অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে হুয়াওয়ে।
এর জের ধরে ফাইভ-জির
জন্য প্রয়োজনীয় টেলিকম যন্ত্রাংশ রপ্তানিতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অনুমোদন পায়নি হুয়াওয়ে।
ফলশ্রুতিতে ফোর-জি মডেলের যন্ত্রাংশ তৈরিতে সীমাবদ্ধ থাকতে হচ্ছে তাদের।
এর ফলে ২০২০ সালের
চতুর্থ প্রান্তিকে হুয়াওয়ের স্মার্টফোন বিক্রি ৪২ শতাংশ কমে গেছে। পাশাপাশি যুক্তরাজ্যসহ
বেশ কয়েকটি দেশে ফাইভ-জির উন্নয়নে বাদ পড়েছে চীনা এই কোম্পানি।
এই পরিস্থিতিতে প্রতিষ্ঠানটি
চলতি বছর স্মার্টফোন উৎপাদন ৬০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে আনতে পারে বলে খবর বেরিয়েছে, যদিও
এখনও তা নিশ্চিত করেনি তারা।
হুয়াওয়ের একজন মুখপাত্র
বিবিসিকে বলেন, “এখানে যে বিষয়টি এসেছে তাতে হুয়াওয়ে পণ্যের গুণগত মান বা অভিজ্ঞতা
নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। হুয়াওয়ে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার শিকার হওয়ায় তার জন্য লেভেল প্লেয়িং
ফিল্ড নেই।”
আর সে কারণেই হুয়াওয়ে
এখন রাজস্বের অন্যান্য উৎস খুঁজছে- ক্লাউড কম্পিউটিং সার্ভিস, স্মার্ট ভেহিকল, ওয়ারঅ্যাবল
ডিভাইসের দিকে ঝুঁকছে। এমনকি স্মার্ট কারেরও পরিকল্পনা রয়েছে।
এছাড়া গতানুগতিক কিছু
শিল্প খাতের দিকেও এর নজর রয়েছে। সেগুলোর মধ্যেই শূকরের ফার্ম ও কয়লা খনি শিল্প রয়েছে।
শূকর চাষ
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি
শূকর চাষ হয় চীনে, বিশ্বের জীবিত শূকরের অর্ধেকই রয়েছে দেশটিতে।
শূকরের ফার্মগুলোর
আধুনিকায়নে প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে। রোগ শনাক্ত এবং শূকর চিহ্নিত করতে কৃত্রিম
বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ করা হচ্ছে।
ফেসিয়াল রেকগনিশন প্রযুক্তির
সাহায্যে কোনো নির্দিষ্ট শূকর খুঁজে বের করা যায়। এছাড়া শূকরের ওজন, খাবার ও এক্সারসাইজ
মনিটর করতে অন্যান্য প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়।
জেডি ডটকম ও আলীবাবার
মতো অন্যান্য চীনা টেক জায়ান্টরা ইতোমধ্যে শূকর ফার্মগুলোতে নতুন প্রযুক্তি আনতে কাজ
করছে।