নারিন্দার পীর সাহেব বাড়ি জামে মসজিদে প্রথম ও সূত্রাপুর জামে মসজিদে আসরের পর দ্বিতীয় জানাজা শেষে বড় ছেলে কামরুজ্জামান কবীরের পাশে এটিএম শামসুজ্জামানকে সমাহিত করা হয়েছে।
৮০ বছর বয়সী এ অভিনেতা বার্ধক্যজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে শনিবার সকালে মারা যান।
চার শতাধিক চলচ্চিত্রের বহু খল ও কমেডি চরিত্রকে অমর করে যাওয়া এই অভিনেতাকে শেষবারের মতো দেখতে সকাল থেকেই তার সূত্রাপুরের বাসায় হাজির হয়েছিলেন সহশিল্পী-শুভাকাঙ্ক্ষীরা।
একুশে পদকপ্রাপ্ত এ শিল্পীকে ফুলেল শ্রদ্ধা জানাতে বিকালে তার বাসায় গিয়েছিলেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ।
তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “তিনি আমাদের চলচ্চিত্র অঙ্গনকে আজীবন সমৃদ্ধ করে গেছেন। তিনি একটি চরিত্রকে এমনভাবে ফুটিয়ে তুলে পারতেন সেটি অসাধারণ, সেটির সঙ্গে কোনও তুলনা হয় না।
“এর বাইরে তিনি আজীবন বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে লালন করেছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে থেকে লড়াই সংগ্রাম করেছেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে সবসময় সোচ্চার ছিলেন। মৌলবাদ, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে তার কণ্ঠ সবসময় সোচ্চার ছিল।”
তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শ্রদ্ধা জানাতে এটিএম শামসুজ্জামানের দেবেন্দ্রনাথ দাস লেনের বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন অভিনয়শিল্পী আনোয়ারা, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সংগীতশিল্পী রফিকুল আলম, ছোটপর্দার অভিনেত্রী তারিন, মীর সাব্বিরসহ আরও অনেকে।
দীর্ঘ ছয় দশকের ক্যারিয়ারে অভিনয়ের জোরেই নিজের নামটিকে একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে পেরেছিলেন এটিএম শামসুজ্জামান। তবে তিনি ছিলেন একাধারে পরিচালক, চিত্রনাট্যকার, সংলাপকার ও গল্পকার। তার লেখা চিত্রনাট্যের সংখ্যা শতাধিক।
অভিনয়ের জন্য আজীবন সম্মাননার পাশাপাশি পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া এটিএম শামসুজ্জামান ২০১৫ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন।