ক্যাটাগরি

আটকা পড়া বিদেশিরা দেশে ফেরার চেষ্টায়

তবে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের যারা এখনও বাংলাদেশে আছেন, তারা কীভাবে ফিরবেন, সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো ঘোষণা এখনও আসেনি।

ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক এএইচএম তৌহিদ উল আহসান জানান, বুধবার মধ্যরাতে মালয়েশিয়া থেকে আসা একটি এয়ারক্রাফটে সেদেশের ২২৫ জন নাগরিক এবং বৃহস্পতিবার সকালে ভুটান সরকারের ব্যবস্থাপনায় সেদেশের ১৩৯ জন দেশে ফিরে গেছেন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আমাদের কাছে নির্দেশনা রয়েছে, কোনো দেশ চাইলে বিশেষ বিমানে তাদের নিজ দেশের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে পারবেন। এটা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত।”

ঢাকায় ব্রিটিশ হাই কমিশন শুক্রবার তাদের নাগরিকদের যুক্তরাজ্যে ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিল। কিন্তু এরপর বাংলাদেশ বিমান লন্ডন ও ম্যানচেস্টারের ফ্লাইট ৩১ মার্চ থেকে সাত দিনের জন্য স্থগিত ঘোষণা করলে ব্রিটিশ নাগরিকরা অনিশ্চয়তায় পড়েন।

শুক্রবার রাতে ব্রিটিশ হাই কমিশন ফেইসবুকে তাদের নাগরিকদের জানায়, বিমানের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার আগে লন্ডন ও ম্যানচেস্টারের উদ্দেশ্যে শেষ ফ্লাইটটি চলবে ২৯ মার্চ।

“যুক্তরাজ্য সরকার বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ ও এয়ারলাইন্সের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে, যাতে এ দেশে থাকা ব্রিটিশ নাগরিকরা যত দ্রুত সম্ভব ফিরে যেতে পারেন। যদি কেউ এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ ছাড়তে না পারেন, তাহলে তাকে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের পরামর্শ, আমাদের ট্র্যাভেল অ্যাডভাইস মেনে চলতে এবং বন্ধু, পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে বলব আমরা।”   

ঢাকার মার্কিন দূতাবাস বৃহস্পতিবার জানিয়েছিল, বাংলাদেশে থাকা নাগরিকদের দেশে ফেরাতে তারা বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছে।

দেশে ফিরতে ইচ্ছুক আমেরিকানদের তথ্য চেয়ে দূতাবাসের ওয়েবসাইটে এক বার্তায় বলা হয়েছি, “আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ফিরতে ইচ্ছুক মার্কিন নাগরিক ও পরিবারের সদস্যদের জন্য একটি ফ্লাইটের ব্যবস্থার করতে কাজ করছে দূতাবাস।”

শনিবার দূতাবাসের ওয়েবসাইটে এক নোটিসে বলা হয়, রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার বিকালে বাংলাদেশে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মিলিত হবেন। তাদের জন্য ফ্লাইটের ব্যবস্থা করার বিষয়ে সেখানে সর্বশেষ পরিস্থিতি জানানো হবে।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে ১৬ মার্চ থেকে যুক্তরাজ্য ছাড়া ইউরোপের অন্যান্য সব দেশ থেকে যাত্রীদের আসা বন্ধ করে বাংলাদেশ।

এরপর ২১ মার্চ থেকে ভারত, সৌদি আরব, কাতার, বাহরাইন, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ওমান ও সিঙ্গাপুর-এই ১০ দেশের সঙ্গে বিমান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।

সরকারের ওই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে দেশগুলোর সঙ্গে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট পরিচালনাও বন্ধ হয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে ৩১ মার্চ পর্যন্ত ফ্লাইট বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছিল তারা। 

এরপর শুক্রবার আরেক ঘোষণায় যুক্তরাজ্যের লন্ডন ও ম্যানচেস্টার রুটে চলা দুটি ফ্লাইট আগামী ৩১শে মার্চ থেকে সাত দিনের জন্য স্থগিত রাখার ঘোষণা আসে।