‘অন্ধকার
থেকে মুক্ত করুক একুশের আলো’ শ্লোগানে রোববার সন্ধ্যায় নড়াইলের সরকারি ভিক্টোরিয়া
কলেজের কুড়িরডোব মাঠে ‘একুশের আলো’ সংগঠন এই আয়োজন করে।
১৯৮৮ সাল
থেকে প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারিতে এই অনুষ্ঠান হয়ে আসছে।
সন্ধ্যা
সাড়ে ৬টায় নড়াইলের সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের শিল্পীরা ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো
একুশে ফেব্রুয়ারি’ গান পরিবেশনের মধ্য দিয়ে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বালন শুরু হয়। এই
প্রদীপ প্রজ্বালনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি, শহীদ মিনার, জাতীয় স্মৃতিসৌধ,
বাংলা বর্ণমালা, আল্পনাসহ গ্রাম বাংলার নানা ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়।
একই সঙ্গে ভাষা
দিবসের ৭০তম বার্ষিকী উপলক্ষে ৭০টি ফানুষ উড়ানো হয়।
প্রতি
বছরের মতো নড়াইলবাসী, ঢাকাসহ নড়াইলের পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলা থেকে কয়েক হাজার
দর্শনার্থী এই দৃশ্য উপভোগ করেন।
একুশের
আলোর আহবায়ক মুন্সী হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধনে প্রধান
অতিথি ছিলেন নড়াইলের জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান।
উদ্বোধন
অনুষ্ঠানে মুন্সী হাফিজুর রহমান বলেন, “সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মান্ধতামুক্ত সুখী
সুন্দর বাংলাদেশের স্বপ্নকে ধারণ করে প্রতিবছর এই অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এর মধ্য
দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিটি ঘর মুক্তির আলোকচ্ছটায় দীপ্যমান হয়ে উঠুক-এই কামনা
আমাদের।”
১৯৯৮ সাল
থেকে নড়াইলে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বালনের মাধ্যমে একুশে ফেব্রুয়ারি পালন করা হচ্ছে
উল্লেখ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এবারের এই মঙ্গল প্রদীপ
প্রজ্বালন অনুষ্ঠানটি বঙ্গবন্ধুর নামে উৎসর্গ করা হয়েছে।
নড়াইল
একুশের আলোর সদস্য সচিব নাট্য ব্যক্তিত্ব কচি খন্দকার বলেন, “সাম্প্র্রদায়িক
শক্তির বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় শানিত অসাম্প্রদায়িক মোর্চা গঠনই আমাদের মূল
লক্ষ্য।”
তিনি বলেন,
বলেন, “বাংলাদেশের মাটিতে সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান নেই। একুশের এই মঙ্গল
প্রদীপের আলোয় দূর হবে সকল অন্ধকার। এই উদ্দেশ্য নিয়েই আমাদের এই আয়োজন।”
অন্যান্যের
মধ্যে বক্তব্য রাখেন নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ মো. রবিউল ইসলাম,
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সুবাস চন্দ্র বোস,
সাধারণ সম্পাদক ও নড়াইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন খান নিলু, নাট্য
ব্যক্তিত্ব কচি খন্দকার, নড়াইল একুশের আলোর অন্যতম সংগঠক নড়াইল সম্মিলিত সাংস্কৃতি
জোটের সাধারণ সম্পাদক শরফুল আলম লিটু প্রমুখ।