ক্যাটাগরি

আদালতে হারলেও ‘পদত্যাগ করছেন না’ নেপালের প্রধানমন্ত্রী

সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের একদিন পর বুধবার ওলির এক সহযোগী এ কথা জানিয়েছেন।

নীতিগত বিভিন্ন বিষয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের মধ্যে সহযোগিতার ঘাটতিকে দায়ী করে গত বছরের ডিসেম্বরে ওলি হঠাৎ করে পার্লামেন্ট বিলুপ্ত করে নতুন নির্বাচনের ঘোষণা দেন, এতে হিমালয় কোলের দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হয়।

এভাবে পার্লামেন্ট বিলুপ্তের ঘোষণাকে ‘অসাংবিধানিক’ অ্যাখ্যা দিয়েছে নেপালের সুপ্রিম কোর্ট; সর্বোচ্চ এ আদালত ৮ মার্চের আগে পার্লামেন্টের অধিবেশন ডাকতেও বলেছে, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

সুপ্রিম কোর্টের এ সিদ্ধান্তের পর পরিস্থিতি পর্যালোচনায় ওলি এখন ক্ষমতাসীন নেপালি কমিউনিস্ট পার্টিতে (এনসিপি) তার মিত্রদের সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছেন।

আদালতের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বুধবার দেশটির রাজধানী কাঠমান্ডুর বিভিন্ন সড়কের দখল নিয়ে ওলিবিরোধী কয়েক হাজার মানুষ সমাবেশ করেছে। তারা প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিও তুলেছে।

“প্রধানমন্ত্রী এখন পদত্যাগ করবেন না। প্রশ্নই আসে না। তিনি পার্লামেন্টের মুখোমুখি হবেন,” ওলির পদত্যাগ প্রসঙ্গে রয়টার্সকে এমনটাই বলেছেন তার সহযোগী সূর্য থাপা।

এনসিপির ওলিবিরোধী অংশ প্রধানমন্ত্রীর স্বৈরাচারি আদলে সরকার পরিচালনার ধরন প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, ওলি যে সরকার চালাতে অযোগ্য, আদালতের সর্বশেষ আদেশেই তার প্রমাণ।

প্রধানমন্ত্রীর বিরোধিতাকারী সব আইনপ্রণেতা এখন তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করছেন, বলেছেন নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির জ্যেষ্ঠ নেতা কাজি শ্রেষ্ঠা। নেপালে গত কয়েকমাস ধরে ওলিবিরোধী যেসব বিক্ষোভ হয়েছে শ্রেষ্ঠাই ছিলেন সেগুলোর আয়োজক।

“যদি ওলি পদত্যাগ না করেন, তাহলে পার্লামেন্টই তার রাজনৈতিক ভাগ্য বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে,” বলেছেন শ্রেষ্ঠা।

করোনাভাইরাস মহামারী নেপালের পর্যটন নির্ভর অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিয়েছে; এ সময় দেশে একটি ‘স্থিতিশীল সরকার’ প্রয়োজন বলে মত এনসিপির এ জ্যেষ্ঠ নেতার।