বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম চেম্বারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স
হলে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় পাকিস্তান হাই কমিশনার ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী বলেন,
দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্ভাবনাময় হলেও আশানরূপ নয়। এক্ষেত্রে উন্নতির সুযোগ রয়েছে।
উভয় দেশের বেসরকারি খাতের মধ্যে আরও বেশি সম্পর্কোন্নয়নের
জন্য একটি ‘কমন প্ল্যাটফর্ম’ গড়ে তোলার পরামর্শ দেন তিনি।
ইমরান পাকিস্তানে বাংলাদেশি পণ্যের এবং বাংলাদেশে পাকিস্তানি
পণ্যের একক প্রদর্শনীর উপরও জোর দেন।
ফার্মাসিউটিক্যালস, টেক্সটাইল ও তৈরি পোশাক খাতে পাকিস্তানি
কাঁচামাল ব্যবহারের আহ্বানও জানান তিনি।
হাই কমিশনার বলেন, বাংলাদেশ মধ্য এশিয়াসহ পাকিস্তান থেকে
প্রচুর পরিমাণে কাঁচামাল আমদানি করে থাকে। এক্ষেত্রে চায়না-পাকিস্তান ইকনোমিক করিডোর
(সিপিইসি) ব্যবহার করে সমুদ্রপথে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য পরিচালনা করা হলে তা সময় ও
ব্যয় সাশ্রয়ী হবে।
তিনি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সফর বিনিময়, পর্যটনের প্রসারে
ট্যুর প্রোগ্রাম আয়োজন এবং ভিসা সহজ করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, পাকিস্তানে
উচ্চ শুল্কের কারণে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানি বাড়ানো সম্ভবপর হচ্ছে না।
তিনি বলেন, এক্ষেত্রে কোটা ও সংখ্যার সীমাবদ্ধতা, স্বাস্থ্য
ও মানগত বাধ্যবাধকতা এবং পাকিস্তান সরকারি এজেন্সি কর্তৃক একচ্ছত্রভাবে আমদানি অন্যতম
বাধা।
শুল্ক ও অশুল্ক বাধা দূর করার পাশাপাশি রুলস অব অরিজিন
সহজ করা এবং সমুদ্রপথে চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে করাচি বন্দরের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের
উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
সভায় চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক এস এম আবু তৈয়ব, অঞ্জন
শেখর দাশ ও সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর, বিএসআরএম’র চেয়ারম্যান আলী হুসেইন আকবর আলী, চট্টগ্রাম
চেম্বারের সাবেক পরিচালক হাবিব মহিউদ্দিন এবং পাকিস্তান দূতাবাসের কমার্শিয়াল সেক্রেটারি
মুহাম্মদ সুলেমান খান বক্তব্য রাখেন।