প্রতিবেদনে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকেই ২০১৮-র ওই খুনের জন্য দায়ী করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রতিবেদনটি পড়েছেন; এ নিয়ে শিগগিরই তিনি সৌদি বাদশার সঙ্গে কথা বলতে পারেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সৌদি ক্রাউন প্রিন্সের দহরম মহরম ছিল; ট্রাম্পের কারণেই ওয়াশিংটন খাশুগজি হত্যাকাণ্ড নিয়ে তেমন কঠোর অবস্থান নেয়নি বলে অনেকের ধারণা।
২০১৮ সালে সৌদি কনসুলেটে খাশুগজিকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়; ক্রাউন প্রিন্স এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
সৌদি আরবের কর্তৃপক্ষ পরে জানিয়েছে, খাশুগজিকে দেশে ফিরিয়ে আনতে যাদের পাঠানো হয়েছিল, তাদের ‘বাড়াবাড়ির’ কারণেই ভিন্নমতাবলম্বী ওই সাংবাদিকের মৃত্যু হয়।
এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় সৌদি আরবের একটি আদালত; গত বছর ওই সাজা ২০ বছরের কারাদণ্ডে নামিয়ে আনা হয়।
বৃহস্পতিবারই খাশুগজি হত্যাকাণ্ড নিয়ে মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদনটি প্রকাশ হতে পারে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৪ কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, প্রকাশিত হতে যাওয়া প্রতিবেদনে সৌদি ক্রাউন প্রিন্সই খাশুগজিকে হত্যার অনুমোদন এবং ‘সম্ভবত নির্দেশও দিয়েছিলেন’ বলে জানানো হয়েছে।
মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ ওই প্রতিবেদনে সবচেয়ে বেশি তথ্য দিয়েছে, জানিয়েছেন তারা।