ক্যাটাগরি

বগুড়ায় মেয়র প্রার্থীর গ্রেপ্তারে পরোয়ানা

গত বুধবার বগুড়ার বিশেষ
জজ এমরান হোসেন চৌধুরী এই পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। 

সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক
লিমিটেডের (এসআইবিএল) ৩১ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এই
ব্যাবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে। বুধবার ছিল ওই মামলার অভিযোগ গঠনের দিন। ওইদিন
তিনি আদালতে হাজির ছিলেন না।

আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি
অনুষ্ঠিতব্য বগুড়া পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ‘জগ’
প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বিন্দ্বিতা করছেন। 

বগুড়া বিশেষ জজ আদালতে
দুদকের পাবলিক প্রসিকিউর আবুল কালাম আজাদ জানান, ২০০৮ সালের ২৩ অক্টোবর থেকে
পরবর্তী তিন বছরে সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের বগুড়া শাখায় তৎকালীন তিন
কর্মকর্তা এবং ছয় ব্যবসায়ী মিলে ভুয়া ঋণ হিসাব খুলে ৩১ কোটি ১৯ লাখ ৪৯ হাজার টাকা
আত্মসাৎ করেন।

ওই ঘটনায় এসআইবিএলের
বগুড়া শাখার সেই সময়ের ব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ২০১১ সালে মামলা দায়ের
করেন বলে তিনি জানান।

পিপি আবুল কালাম আরও
বলেন, দুদক মামলাটি তদন্ত করে এবং ২০১৭ সালে নয় জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল
করে।

অভিযোগপত্রের আসামিরা হলেন
এসআইবিএলের সাবেক ব্যবস্থাপক (বর্তমানে বরখাস্ত) রফিকুল ইসলাম, সাবেক ফার্স্ট ভাইস
প্রেসিডেন্ট (বর্তমানে বরখাস্ত) আতিকুল কবির, সাবেক এক্সিকিউটিভ অফিসার (বর্তমানে
বরখাস্ত) মাহবুবুর রহমান, ব্যবসায়ী আকতার হোসেন মামুন, জহুরুল হক মোমিন, এনামুল হক
বাবু, মাকসুদুলম আলম খোকন, ফেরদৌস আলম এবং বগুড়া শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক
সম্পাদক শুকরা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আব্দুল মান্নান আকন্দ।

পিপি আবুল কালাম আরও জানান,
ওই মামলায় বুধবার [২৪ ফেব্রুয়ারি] অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য ছিল। নিয়ম অনুযায়ী অভিযোগ গঠনের দিন আসামির আদালতে
হাজির থাকাতে হয়।

কিন্তু ওইদিন নয় আসামির
মধ্যে জামিনে থাকা সাত জন এবং কারাগারে আটক জহুরুল হক মোমিন আদালতে হাজির থাকলেও
আব্দুল মান্নান আকন্দের পক্ষে আইনজীবী বগুড়া পৌরসভার 
নির্বাচনের কারণ দেখিয়ে সময় প্রার্থনা করেন বলে পিপি জানান।

“আদালত আবেদন নাকচ করে অভিযোগ
গঠন শেষে আব্দুল মান্নান আকন্দের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।”

তবে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
থানায় পৌঁছেছে কিনা তা তিনি নিশ্চিত করতে পারেননি।

বগুড়া সদর থানার ওসি
হুমায়ন কবির সন্ধ্যা সোয়া ৬টায়  জানান, তিনি গ্রেপ্তারি পরোয়নার কাগজ পাননি।

বগুড়ার জ্যেষ্ঠ নির্বাচন
কর্মকর্তা মাহবুব আলম শাহ জানান, কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়না হলেও
তাকে গ্রেপ্তারে নির্বাচন কমিশনের অনুমতি লাগবে। এখন আব্দুল মান্নানের বিষয়ে পুলিশ
প্রশাসনের কেউ অনুমতি নিতে আসেনি।

আব্দুল মান্নানের
বক্তব্য চেয়ে ফোন করলেও ফোন ধরেননি তিনি। তবে বিকাল সাড়ে ৫টায় নিজের ফেইস বুকে বলেছেন,
“আমার বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র চলছে, গ্রেপ্তারসহ নানা গুজব ছড়ানো হচ্ছে। আপনারা
ওসবে দিকে কান দিবেন না। ভোট দিতে যাবেন।”