এনএলডির নেতাদের বরাত দিয়ে দ্য মিয়ানমার নাউ ওয়েবসাইটে এ খবর প্রকাশ করা হয়েছে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সু চির দলকে উৎখাত করে ক্ষমতার দখল নেয় দেশটির সেনাবাহিনী। তারপর থেকে সু চিকে রাজধানী নেপিডোতে তার নিজ বাড়িতেই গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছিল।
এখন এনএলডির জ্যেষ্ঠ নেতারা দাবি করছেন, সু চিকে তার বাড়ি থেকে অন্য কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বলেন, ‘‘তাকে কোথায় রাখা হয়েছে সে সম্পর্কে আমরা কিছুই জানি না।”
মিয়ানমার পুলিশ এরই মধ্যে সু চির বিরুদ্ধে ‘অবৈধপথে ওয়াকি-টকি আমদানি এবং বেআইনি যোগাযোগের জন্য সেগুলো নিজের কাছে রাখার’ এবং ‘নেচারাল ডিজাস্টার ল’ লঙ্ঘনের অভিযোগ দায়ের করেছে। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ভিডিও কলের মাধ্যমে সু চিকে আদালতে উপস্থাপনও করা হয়।
আগামী সোমবার (১ মার্চ) সু চিকে পুনরায় আদালতে উপস্থাপন করার কথা।
এদিকে, সু চির এক আইনজীবীর অভিযোগ তাকে সু চির সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
আদালতে সু চি, দ্বিতীয় অভিযোগ দায়ের
মিয়ানমারে প্রতিবাদকারীদের ওপর হামলা জান্তাপন্থিদের
আইনজীবী খিন মাউং জাউই বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, যেহেতু সু চির সঙ্গে তাকে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। তাই তিনি সোমবারের পরবর্তী শুনানির জন্য ঠিকঠাক মত প্রস্তুতি নিতে পারছেন না।
‘‘কীভাবে আমরা আদালতে নিজেদের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করবো সেটা জন্য আমার তার (সু চি) নির্দেশনা প্রয়োজন। আমার ভয় হচ্ছে, হয়তো সেখানে ন্যায় বিচার পাওয়ার এবং যথাযথ আইনি সহায়তা পাওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত হতে হবে।”
এদিকে, অভ্যুত্থানের পর থেকে সু চির মুক্তি এবং দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার দাবিতে মিয়ানমারে টানা বিক্ষোভ চলছে।
শুক্রবারও বাণিজ্যিক রাজধানী ইয়াংগনে অন্তত এক বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। আরেক বৃহৎ নগরী মানডালায় কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
তবে রয়টার্স থেকে যোগাযোগ করা হলে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হয়নি।