রোববার দুপুরে জাতীয়
প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “আমরা পাকিস্তান আমলে আইয়ুব খানকে দেখেছি,
বাংলাদেশে এরশাদকে দেখেছি- কিছুদিন পর্যন্ত স্বৈরাচার গায়ের জোরে পুলিশি অ্যাকশন করে
টিকে থাকতে পারে, বেশিদিন টিকে থাকতে পারে না। আমরা গতকাল খুলনাতে (বিএনপি দলীয় সাবেক
মেয়রদের সমাবেশ) দেখলাম- আমাদের কথা বলার, সমাবেশ করার যে অধিকার, সেই অধিকার দেওয়া
হয়নি।
“এভাবে আজকে সরকার
যে গণতন্ত্রের গলা টিপে ধরে থাকছে। আমরা বিশ্বাস করি, জনগণ ইস্পাতকঠিন গণঐক্য গড়ে তুলে
রুখে দাঁড়াবে। ইনশাল্লাহ এই ফ্যাসিস্ট সরকারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করবে, জনগণের মালিকানা
দেশের জনগণকে ফিরিয়ে দেবে- এই প্রত্যাশা আমরা করি।”
খন্দকার মোশাররফ বলেন,
“ক্ষমতাসীনরা প্রতিহিংসাপরায়ন হয়ে জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব কেড়ে নেওয়ার অপচেষ্টা
করছে। এ খেতাব কারও দয়ায় জিয়াউর রহমানসহ মুক্তিযোদ্ধারা পান নাই। সম্মুখযুদ্ধ করে
তারা এই খেতার অর্জন করেছিলেন এবং এদেশের মানুষ তাদেরকে এই খেতাব দিয়েছে।
“এই খেতাব কেড়ে নেওয়ার
অধিকার কারও নেই। জামুকা কেন, বর্তমান সরকারও যদি চায় এই খেতাব কেড়ে নেওয়ার কারও কোনো
অধিকার নেই।”
জাতীয় প্রেস ক্লাবে
জিয়া পরিষদের উদ্যোগে জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের অপচেষ্টার প্রতিবাদে
এই আলোচনা সভা হয়।
জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান
আব্দুস কুদ্দুসের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম মহাসচিব আবুল কালাম আজাদের পরিচালনায় আলোচনা সভায়
বিএনপির এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, জিয়া পরিষদের লুৎফর রহমান, দেওয়ান মাহফুজুর রহমান ফরহাদ,
জহির আলী, দেলোয়ার হোসেন, মহাসচিব এমতাজ হোসেন আবদুল্লাহিল মাসুদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।