এ ছাড়া এ মামলায় নয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রোববার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (দ্বিতীয়) বেগম সাবিনা ইয়াসমিন এ রায় ঘোষণা করেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- তাইজুল ইসলাম ওরফে তাইজুল ফিটার ও মহিউদ্দিন ওরফে মহিউদ্দিন ফিটার।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্তরা হলেন- চাঁন মিয়া, দুলাল মিয়া, মজিবর, আব্দুল মান্নান ও মো. আরিফ, আব্দুল জলিল, সাইফুল ইসলাম, দুলাল হোসেন ও শফিকুল ইসলাম।
আসামিদের মধ্যে আব্দুল জলিল, সাইফুল ইসলাম, দুলাল হোসেন ও শফিকুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন।
এপিপি ফজলুর রহমান জানান, ২০০৮ সালের ২২ সেপ্টেম্বর সিলেট থেকে পাথর বোঝাই করে শাহ্ পরান বাল্কহেড জাহাজের চালক নাসির, মঙ্গল চন্দ্র, ফয়সাল হোসেন ও আব্দুল হান্নান মুন্সীগঞ্জে সিমেন্ট কারখানায় নিয়ে যায়।

তাদের বাল্কহেডের ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়লে তা মেরামত করতে মিস্ত্রী মহিউদ্দিন ওরফে মহি ফিটার ও তাইজুল ইসলাম ওরফে তাইজু ফিটারকে খবর দেন। তারা ইঞ্জিন মেরামত শেষে পরীক্ষা করার কথা বলে বাল্কহেডটি বক্তাবলীর চরে নিয়ে যায়।
পরে বাল্কহেডের চালক-শ্রমিকসহ চারজনকে গলাকেটে হত্যা করে হাত-পা বেঁধে নদীতে ফেলে দেয়। এর মধ্যে নাসির ও ফয়সালের লাশ পাওয়া গেলেও মঙ্গল ও আব্দুল হান্নানের লাশ পাওয়া যায়নি।
ওই ঘটনায় ওই বাল্কহেডের মালিক এরশাদ মিয়া বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে গ্রেপ্তার ৭ আসামি আদালতে জবানবন্দিও দেন।
তদন্ত শেষে ২০০৯ সালের ২৬ মার্চ পুলিশ ১২ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করলে এ মামলার বিচারকাজ শুরু হয়।