ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদই নির্বাসিত সাংবাদিক খাশুগজিকে হত্যার অনুমোদন দিয়েছিলেন বলে যুক্তরাষ্ট্রের একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
২০১৮ সালে ইস্তাম্বুলে সৌদি কনসুলেটের ভেতর খাশুগজিকে খুন করা হয়। প্রথমে নিখোঁজ এবং পরে কনসুলেটের ভেতর খাশুগজিকে হত্যার কথা সৌদি আরব স্বীকার করলেও তার মৃতদেহ এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি।
খাশুগজি হত্যাকাণ্ডের শুরু থেকেই নির্দেশদাতা হিসেবে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদের নাম এলেও সৌদি আরব বরাবর তা অস্বীকার করেছে এসেছে।
দুনিয়াজুড়ে আলোচিত খাশুগজি হত্যাকাণ্ডে সৌদি ক্রাউন প্রিন্সের সংশ্লিষ্টতার কথা এবারই প্রথম প্রকাশ করল যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স পরিচালিত ওই তদন্ত প্রতিবেদনে ‘সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমান সাংবাদিক জামাল খাশুগজিকে হত্যা বা আটক করতে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অভিযানের অনুমোদন দিয়েছিলেন’ বলে প্রমাণ থাকার দাবি করা হয়।
ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পরপরই গত শুক্রবার সৌদি আরবের সাবেক এক কর্মকর্তা ও রাজকীয় একটি বাহিনীর ওপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি দেশটির ৭৬ নাগরিকের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র।
কিন্তু গোয়েন্দা প্রতিবেদনে ক্রাউন প্রিন্সকে ভিন্নমতাবলম্বী সাংবাদিক খাশুগজি খুনের জন্য দায়ী করা হলেও যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি তার ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয়নি বা ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
যা নিয়ে বাইডেন প্রশাসনের বিরুদ্ধে সমালোচনা হচ্ছে।
বিশেষ করে ওয়াশিংটন পোস্টের সম্পাদকীয়তে বলা হয়, প্রেসিডেন্টের ক্রাউন প্রিন্সের উপর আরো কঠোর হওয়া উচিত ছিল।
শনিবার এ বিষয়ে বাইডেন বলেন, ‘‘সৌদি আরবের সঙ্গে আমরা কী করতে যাচ্ছি সে বিষয়ে সোমবার একটি ঘোষণা আসবে।”
এ বিষয়ে বিস্তারিত আর কিছু জানাননি তিনি।
তবে হোয়াইট হাউজের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, নতুন করে উল্লেখ করার মত কোনো পদক্ষেপের ঘোষণা আসার সম্ভাবনা কম।
তিনি বলেন, ‘‘বাইডেন প্রশাসন শুক্রবারই বিস্তৃত আকারে নতুন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সোমবার সেগুলো নিয়ে আরো বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হবে। প্রেসিডেন্ট সে কথাই বলেছেন। নতুন ঘোষণার কথা নয়।”