জেলার কোটালীপাড়া আমলি আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম অমিত
কুমার রায় রোববার এই আদেশ দেন।
মামলা থেকে যুগান্তরের প্রকাশক সালমা ইসলাম ও সম্পাদক
সাইফুল আলমকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী হাসান মোল্লা মামলার নথির বরাতে
জানান, ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর রুহুল কবির রিজভী সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনাকে কটূক্তি করেন বলে অভিযোগ আনা হয়। তাছাড়া মামলার বাদী দেলোয়ার হোসেন
সরদারসহ ২৩ জনকে রাজাকার বলে উল্লেখ করেন ওই নেতা। সংবাদ সম্মেলনের এই সংবাদটি
যুগান্তরের অনলাইনে প্রকাশিত হয় এবং কাগজে মুদ্রি হয়। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা ও গোপালগঞ্জের আইনজীবী দেলেয়ার
হোসেন সরদারের মানহানি হয়।
এ ঘটনায় ২০১৯ সালের ২০ জানুয়ারি দেলোয়ার হোসেন সরদার
গোপালগঞ্জের আদালতে একটি মানহানি মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলা তদন্ত করার জন্য
সিআইডিকে নির্দেশ দেয়। তদন্ত শেষে প্রতিবেদনে যুগান্তরের প্রকাশক সালমা ইসলাম ও
সম্পাদক সাইফুল আলমকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
বেঞ্চ সহকারী বলেন, রোববার শুনানি শেষে বিচারক বিএনপি
নেতা রুহুল কবির রিজভীর বিরুদ্ধে সমন জারি করে। তাছাড়া সালমা ইসলাম ও সাইফুল আলমকে
অব্যাহতি দেয়।
আগামী ২৮ মার্চ মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক হয়েছে
বলে তিনি জানান।
মামলার বাদী দেলোয়ার বলেন, “রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্যে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও আমার মান ক্ষুণ্ন হয়েছে। এ কারণে
আমি মানহানি মামলা করেছি।”