মঙ্গলবার ভোর রাতে পটিয়া উপজেলার শিকলবাহা খালের কালারপুল সেতুর নিচে ওই বাল্কহেড ডুবির ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ দুই শ্রমিকের নাম আবুল কালাম (৫০) ও রহমত আলী (২৮)।
এছাড়া বাল্ক চালকসহ আরও দুজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, নগরীর সদরঘাট থেকে পাথর নিয়ে কালীগঞ্জ যাওয়ার পথে শিকলবাহা খালে কালারপুল সেতুর নিচে তলা ফুটো হয়ে নৌযানটি ডুবে যায়।
নিখোঁজদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল কাজ করছে বলে জানান তিনি।
ঘটনাস্থল থেকে চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের লিডার বিপ্লব কুমার নাথ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, হাজী আব্দুল হাশেমের মালিকানাধীন নৌযানটি ৭০০ টন পাথর নিয়ে আনোয়ারায় নির্মাণাধীণ কালীগঞ্জ ব্রিজে যাচ্ছিল।
ভোর রাতে পুরোনো কালারপুল সেতুর ডুবে থাকা পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে সেটির তলা ফুটে হয়ে ডুবে যায়।
বিপ্লব জানান, ওই নৌযানে পাঁচজন কর্মচারী এবং ২৪ জন শ্রমিক ছিলেন। তাদের মধ্যে ২৭ জন বের হতে পারলেও দুই শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন।
ফায়ার সার্ভিসের এই ডুবুরি জানান, ভোর থেকে তারা উদ্ধার কাজ শুরু করেন। সকালে ডুবন্ত বাল্কহেডের অবস্থান নিশ্চিত করা গেলেও দুই শ্রমিককে এখনও উদ্ধার করা যায়নি।
জোয়ারের সময় খালে তীব্র স্রোত থাকায় উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আনোয়ারা উপজেলার পরৈকোড়া এলাকার সাথে পটিয়ার সংযোগ করেছে কালীগঞ্জ সেতু। বর্তমানে ওই খালের ওপর নতুন সেতু নির্মাণের কাজ চলছে।