ক্যাটাগরি

ঢাবিতে ঐতিহাসিক পতাকা উত্তোলন দিবস পালিত

মঙ্গলবার এ দিবস উপলক্ষে কলাভবন সংলগ্ন বটতলায়
জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান।

১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানীদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে প্রথমবারের মত মানচিত্রখচিত বাংলাদেশের পতাকা উড়ানো হয়েছিল এই বটতলাতেই।

অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, “আমরা খুবই আনন্দিত যে, মুজিব শতবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের সুযোগ পেয়েছি।”

এ দিবসের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে উপাচার্য বলেন, “অগ্নিঝরা মার্চে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সব গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক
ঘটনাপ্রবাহ সংগঠিত হয়েছে। ১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে জাতীয় পতাকা প্রথম উত্তোলন করা
হয়। সেদিন জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে একটি জাতি রাষ্ট্রের সূচনা হয়েছিল।
তারপর ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পরোক্ষ ঘোষণা দেন।”

অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ শুধু বাঙালি জাতির জন্য মুক্তির ভাষণ নয়, এটি পুরো পৃথিবীর মুক্তিকামী মানুষের জন্য
অনুপ্রেরণা।

“এর
ধারাবাহিকতায় ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। জাতিসংঘ ৭ মার্চের
ভাষণকে বিশ্ব ঐতিহ্যের দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এভাবে ইতিহাস এবং দর্শনের
প্রতিটি ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গবন্ধু একে অপরের সাথে জড়িত।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা)
অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক
নিজামুল হল ভুঁইয়া, প্রক্টর অধ্যাপক এ
কে এম গোলাম রব্বানীসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

১৯৭১ সালের ২ মার্চ ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় এক ছাত্রসমাবেশে ছাত্রনেতা আ স ম
আব্দুর রবের নেতৃত্বে ডাকসু নেতারা বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। সেই
পতাকার মাঝখানে ছিল বাংলাদেশের মানচিত্র।

স্বাধীনতার পর পতাকা থেকে মানচিত্রটি বাদ দিয়ে পতাকার মাপ ও রঙ নির্ধারণ করে এর পরিমার্জন করা হয়, যা আজ
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা।

সবুজ আয়তক্ষেত্রের মাঝখানে লাল
বৃত্ত,
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার এই রূপটি ১৯৭২ সালের ১৭ জানুয়ারি
সরকারিভাবে গৃহীত হয়।