ক্যাটাগরি

বারাকা পতেঙ্গার শেয়ারের প্রান্তসীমা মূল্য ৩২ টাকা

নিলামের জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা
নির্ধারিত ওয়েবসাইট https://www.essbangladesh.com/login.xhtml
থেকে মঙ্গলবার এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে ফেব্রুয়ারির ২২ তারিখ থেকে ফেব্রুয়ারির
২৫ তারিখ নিলাম হয়।

নিলামে ৩৫৭ জন প্রতিষ্ঠানিক
বিনিয়োগকারী অংশ নেন। তারা বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ারের ৩ কোটি ৬৮ লাখ ৮৫ হাজার ২৮৮টি
শেয়ারের জন্য দাম হাঁকান।

নিলামে সর্বোচ্চ দাম ডাকা ৩২ টাকা
আর সর্বনিম্ন দাম হয় ১৩ টাকা।

৩২ টাকাতেই প্রায় ৯ কোটি ৩৮ লাখ ৫৯
হাজার ৯০০টি শেয়ারের চাহিদা ছিল। ৩২ টাকাতেই সমস্ত শেয়ার শেষ হয়ে যায়।৩২ টাকার
নিচে আর কেউ শেয়ার পাননি।

সব মিলিয়ে ১৭ কোটি ৬৩ লাখ ৭ হাজার ৫০০
শেয়ারের চাহিদা ছিল নিলামে। সব মিলিয়ে বরাদ্দ শেয়ারের ৪ দশমিক ৭৮ গুণ চাহিদা জমা পড়ে।

এখন ৩২ টাকা থেকে কম দামে সাধারণ
বিনিয়োগকারীরা শেয়ার পাবেন।

এর পরে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা আইপিওর
শেয়ার পেতে আবেদন করবেন। আবেদন শেষে লটারি হবে এবং লটারি হয়ে গেলে শেয়ারটির পুঁজিবাজারে
লেনদেনে শুরু হবে।

গত ৬ জানুয়ারি বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার
লিমিটেডকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে ২২৫ কোটি টাকা তোলার অনুমতি দেয় পুঁজিবাজার
নিয়ন্ত্রক সংস্থা-বিএসইসি।

বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে
প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ২২৫ কোটি টাকা তুলবে।

এর মধ্যে ১৪৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা বারাকা
পতেঙ্গা পাওয়ারের দুই সহযোগী কোম্পানি কর্ণফুলী পাওয়ার লিমিটেড এবং বারাকা শিকলাবাহা
পাওয়ার লিমিটেডে বিনিয়োগ করা হবে।

বাকি টাকা থেকে দীর্ঘমেয়াদী ঋণ পরিশোধ
করা হবে এবং আইপিও খরচ বহন করা হবে বলে জানান মঞ্জুর কাদির শাফি।

বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে ২০১১ তালিকাভুক্ত
বারাকা পাওয়ার লিমিটেডের সাবসিডিয়ারি কোম্পানি হচ্ছে বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার লিমিটেড।

পতেঙ্গায় তাদের বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ফারনেস
অয়েল বা এইচএফও ব্যবহার করে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উত্পাদন করা যায়।

২০১১ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার তিন বছর
পর কাজ শুরু করে বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার লিমিটেড।

২০২০ সালের ৩০ জুনের আর্থিক প্রতিবেদন
অনুযায়ী এ কোম্পানির মোট সম্পদের পরিমাণ ২ হাজার ৬৭ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। ২০১৯-২০ অর্থ
বছরে সম্মিলিতভাবে মুনাফা করেছে ৬৭ কোটি ৩৯ লাখ টাকা, যা আগের অর্থবছরের দ্বিগুণের
বেশি।

কর্ণফুলী পাওয়ার লিমিটেড এবং বারাকা
শিকলাবাহা পাওয়ার লিমিটেডের ৫১ শতাংশের মালিক বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার।

মঞ্জুর কাদির শাফি বলেন, কর্ণফুলী পাওয়ার
১১০ মেগা-ওয়াট ক্ষমতার এবং বারাকা শিকলবাহা পাওয়ার ১০৫ মেগা-ওয়াট ক্ষমতার ফার্নেস
অয়েল বা এইচএফও ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র।

সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে ২০০৭ সালে ৫১ মেগাওয়াট
ক্ষমতার একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু হয় বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার
লিমিটেডের মূল মালিক কোম্পানি বারাকা পাওয়ারের।

বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ারের আইপিওর ইস্যু
ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে লংকা বাংলা ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।