মঙ্গলবার বিকালে কারওয়ান বাজারের সার্ক ফোয়ারায় সাধারণ সাংবাদিকদের ব্যানারে এই মানববন্ধনে ঢাকায় কর্মরত পেশাদার সাংবাদিক নেতাসহ প্রায় অর্ধশত সাংবাদিক অংশ নেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিপক্ষে অবস্থান জানিয়ে সাংবাদিকরা ‘না’ লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেন।
মানববন্ধনে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আকতার হোসেন বলেন, “ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রভাবশালীরা অপপ্রয়োগ করতে পারেন, এটি নিয়ে আমরা শুরুতেই সংশয় প্রকাশ করেছিলাম। তার প্রতিবাদে সম্পাদক পরিষদের দাবি ছিল আইনটি সংশোধন করতে, কিন্তু তা না করে আইনটি সরাসরি পাস করা হয়। সম্পাদক পরিষদের সেই উদ্বেগ আজ বাস্তবে পরিণত হয়েছে।
“কারণ আজকে সাংবাদিক সমাজ একটা স্ট্যাটাস দিতেও ভয় পায়। তারা মনে করে যে, স্ট্যাটাস দিলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হয়ত মামলা বা জেল হতে পারে এবং সাম্প্রতিক সময়ে তার প্রমাণ আপনারা পেয়েছেন।”
তিনি বলেন, “আমরা মনে করি সাংবাদিকরা মত প্রকাশে বিশ্বাস করে এবং তাদের লেখনীতে স্বাধীনতা প্রকাশ পায়, যেখানে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ভয়ভীতি ঢুকিয়ে দিয়েছে। সুতরাং এই আইনের সংশোধন হোক সেটা আমরা চাই।”
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ বলেন, “ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বেশ কয়েকটি ধারা স্বাধীন সাংবাদিকতায় এক ধরনের প্রতিবন্ধকতা এবং সাংবাদিকদের লেখনীর ওপর নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠার হাতিয়ার। যখনই এই আইনটি পাস হল, তখন থেকেই দেখছি বিভিন্ন পর্যায়ে মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের স্বাধীনতা হরণ করা হচ্ছে।
“একদিকে সাংবাদিকদের একের পর এক মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করে দিনের পর দিন জেলে রাখা হচ্ছে। একইভাবে এই আইনটি সাংবাদিকদের লেখনী বন্ধে হুমকি হিসেবে কাজ করছে।”
৩০ মিনিটের এই মানববন্ধন থেকে বাংলা ভিশনের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক দীপন দেওয়ান তিন দফা দাবি ঘোষণা করেন।
মানববন্ধনে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক নির্বাহী পরিষদ সদস্য গোলাম মুজতবা ধ্রুব, সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান সুমন, একাত্তর টিভির জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক নাদিয়া শারমিন, বাংলাভিশনের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক নাসিরুল্লাহ, জিটিভির রুবিনা ইয়াসমিন, ইকবাল অনিক, নিউজটোয়েন্টিফোরের নাঈম আল জিকো, বৈশাখী টিভির আশিকুর রহমান, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির রেজুয়ানুল হক, এনটিভি অনলাইনের প্রতিবেদক মাসুদ রায়হান পলাশ প্রমুখ অংশ নেন।