একই শহরে গণমাধ্যমের তিন নারী কর্মীকে গুলি করে হত্যার পর এ ঘটনা ঘটল বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন নানগারহার প্রদেশের কর্মকর্তারা।
নানগারহারের গভর্নরের মুখপাত্র আতাহউল্লাহ খোগিয়ানি জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকালে রিক্সাযোগে কর্মস্থলে যাওযার পথে বিস্ফোরণে এই নারী চিকিৎসক নিহত হন। এ ঘটনায় একটি শিশুও আহত হয়েছে।
খোগিয়ানি এই চিকিৎসকের নাম না নিলেও তিনি একটি বেসরকারি হাসপাতালের মা ও শিশু বিভাগে কর্মরত ছিলেন বলে জানিয়েছেন।
তাৎক্ষণিকভাবে কোনো পক্ষ এ হামলার দায় স্বীকার করেনি।
আফগানিস্তানে কয়েক মাস ধরে পূর্বপরিকল্পিতভাবে সাংবাদিক, এনজিও কর্মী ও মাঝ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের হত্যার একটি ধারা চলছে। গুলি করে, গাড়িতে ছোট বোমা স্থাপন করে অথবা তাদের লক্ষ্য করে রাস্তার পাশে বোমা পেতে রেখে হত্যা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার জালালাবাদে বেসরকারি একটি টেলিভিশনের তিন নারী কর্মীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার সময় ১৮ থেকে ২০ বয়সী এই তিন নারী কর্মস্থলে থেকে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন।
তাৎক্ষণিকভাবে কেউ এ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার না করলেও পরে ইসলামিক স্টেট (আইএস) জানায়, তারা হামলাগুলো চালিয়েছে।
এ ধরনের অনেকগুলো হামলার জন্য আফগানিস্তান সরকার ও বিদেশি কিছু শক্তি তালেবান বিদ্রোহীদের দায়ী করলেও এসব হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে তারা।
পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী নানগারহার অনেকদিন ধরেই আফগানিস্তানে আইএসের প্রধান শক্তিকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।