বৃহস্পতিবার বিকালে কক্সবাজারের
দ্রুত বিচার ট্রাইবুন্যালের বিচারক দেলোয়ার হোসেন শামীমের আদালত এ আদেশ দিয়েছে বলে
আদালতের পুলিশ পরিদর্শক চন্দন কুমার চক্রবর্তী জানিয়েছেন।
গত মঙ্গলবার প্রথম দফায় গ্রেপ্তার
এই ৩ পুলিশ সদস্যকে দুইদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদেশ দিয়েছিল আদালত।
ওইদিন রাতেই তাদের পুলিশ হেফাজতে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল।
আসামিরা হলেন, এসআই নুর হুদা
সিদ্দিক, কনস্টেবল আমিনুল মমিন এবং মামুন মোল্লা। এরা সবাই কক্সবাজার শহর পুলিশ ফাঁড়িতে
কর্মরত।
আদালত পরিদর্শক চন্দন কুমার
চক্রবর্তী বলেন, ওই নারীর কাছ থেকে টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেপ্তার তিন পুলিশ সদস্যকে
প্রথম দফায় দুইদিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা
আসামিদের আবারো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনদিনের রিমান্ড আবেদন করেন। এ নিয়ে আদালত আবেদনটি
মঞ্জুর করে।
এরপর তিন পুলিশ সদস্যকে দ্বিতীয়
দফায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সন্ধ্যায় পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানান এ পুলিশ পরিদর্শক।
গত সোমবার রাতে কক্সবাজার
শহরের মধ্যম কুতুবদিয়া পাড়ায় সাদা পোশাকধারী ৫ থেকে ৬ জনের একটি দল আইন-শৃংখলা বাহিনীর
সদস্য পরিচয়ে পিস্তল ঠেকিয়ে রোজিনা আক্তার নামে এক নারীর কাছ থেকে তিন লাখ টাকা ছিনিয়ে
নেয়। ওই নারী চিৎকারে অন্যরা পালিয়ে গেলেও এক পুলিশ সদস্যকে ধরে ফেলে স্থানীয় জনতা।
এ ঘটনাটি ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে
পুলিশকে অবহিত করা হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করা
হয়।
এ ঘটনায় সোমবার রাতেই ভুক্তভোগী
নারী রোজিনা আক্তার বাদী হয়ে তিন পুলিশ সদস্য সহ পাঁচজনকে আসামি করে দ্রুত বিচার আইনে
মামলা করেন।
পরে গ্রেপ্তার ৩ পুলিশ সদস্যকে
আদালতে হস্তান্তর করে পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই
আব্দুল মজিদ। এতে গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।