অ্যানফিল্ডে বৃহস্পতিবার রাতে ১-০ ব্যবধানে জিতেছে টমাস টুখেলের দল। ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোলটি করেন ম্যাসন মাউন্ট।
লিগে এই নিয়ে ঘরের মাঠে টানা পাঁচ ম্যাচ হারল লিভারপুল। টুখেল দায়িত্ব নেওয়ার পর সব প্রতিযোগিতা মিলে টানা ১০ ম্যাচে অপরাজিত রইল চেলসি।
গত সেপ্টেম্বরে দুই দলের প্রথম দেখায় স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে ২-০ গোলে জিতেছিল লিভারপুল।
আসরে দুই ম্যাচ পর জয়ের স্বাদ পেল চেলসি। গত দুই রাউন্ডে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও সাউথ্যাম্পটনের সঙ্গে ড্র করেছিল তারা। আর টানা চার হারের পর গত রাউন্ডে শেফিল্ড ইউনাইটেডের বিপক্ষে ২-০ গোলে জিতেছিল ইয়ুর্গেন ক্লপের দল।
শুরু থেকে শিরোপাধারীরা বল দখলে কিছুটা এগিয়ে থাকলেও সুযোগ তৈরিতে এগিয়ে ছিল চেলসি। ষোড়শ মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ আসে টিমো ভেরনারের সামনে। সেসার আসপিলিকুয়েতা ক্রস বাড়ান ডি-বক্সে। কিন্তু আলিসনকে একা পেয়েও কাছ থেকে তার হাতে বল তুলে দেন জার্মান ফরোয়ার্ড।
২২তম মিনিটে জর্জিনিয়োর লম্বা পাস ধরে পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে আসা আলিসনের বাধা এড়িয়ে বল জালে পাঠান লিগে এর আগের ১৪ ম্যাচেও গোল না পাওয়া ভেরনার। কিন্তু ভিএআরের সাহায্যে অফসাইডের বাঁশি বাজান রেফারি। এর পাঁচ মিনিট পর ভালো একটি সুযোগ পান লিভারপুলের সাদিও মানে। কিন্তু মোহামেদ সালাহর ক্রস ডি-বক্সে পেয়ে শট নিতে পারেননি সেনেগালের এই ফরোয়ার্ড।
বিরতির আগে মাউন্টের দারুণ গোলে এগিয়ে যায় সফরকারীরা। নিজেদের অর্ধ থেকে এনগোলো কঁতের বাড়ানো বল ধরে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন তিনি। লিভারপুলের দুই খেলোয়াড়ের বাধায় শুরুতে শট নিতে পারেননি। একটু সরে গিয়ে ডান পায়ের শটে ঠিকানা খুঁজে নেন ইংলিশ মিডফিল্ডার।
৫৫তম মিনিটে দ্বিগুণ হতে পারতো ব্যবধান। হাকিম জিয়াশের প্রচেষ্টা গোললাইন থেকে ফেরান অ্যান্ড্রু রবার্টসন।
পুরো ম্যাচে চেলসির ১১ শটের পাঁচটি ছিল লক্ষ্যে। লিভারপুল লক্ষ্যে তাদের একমাত্র শটটি নিতে পারে শেষ দিকে গিয়ে।
২৭ ম্যাচে ১৩ জয় ও আট ড্রয়ে চেলসির পয়েন্ট হলো ৪৭। সমান ম্যাচে ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে সাত নম্বরে গতবারের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল।
ওয়েস্ট ব্রমউইচ অ্যালবিয়নের মাঠে ১-০ গোলে জেতা এভারটন ২৬ ম্যাচে ৪৬ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে আছে।
২৭ ম্যাচে ৬৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ম্যানচেস্টার সিটি। ৫১ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। তাদের চেয়ে ১ পয়েন্ট কম নিয়ে তিন নম্বরে লেস্টার সিটি।