ক্যাটাগরি

ওয়ার্নের সেরা ভারতীয় একাদশে সিধু, নেই লক্ষন

শুধু যাদের বিপক্ষে খেলেছেন, তাদের মধ্য থেকে এই একাদশ গড়েছেন ওয়ার্ন। তাই বিবেচনায় আসেননি মহেন্দ্র সিং ধোনি, বিরাট কোহলিরা। ওয়ার্নের একাদশের অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি।

এমনিতে সিধুর রেকর্ড দুর্দান্ত কিছু নয়। তার চেয়ে উজ্জ্বল রেকর্ডের ব্যাটসম্যানও ভারতে কম নয়। তবে ওয়ার্ন বললেন সিধুর স্পিন খেলার দক্ষতার কথাই।

“নভজোত সিং সিধুকে নিতেই হতো, কারণ আমি যাদের বিপক্ষে খেলেছি, তাদের মধ্যে স্পিনে সেরা ব্যাটসম্যান সে। আমি আরও যেসব স্পিনারের সঙ্গে খেলেছি, তারা বলেছে যে সিধু তাদের বিপক্ষে ছিল দুর্দান্ত।”

সেই বিবেচনায় লক্ষনেরও থাকার কথা একাদশে। ২০০১ সালে কলকাতায় ২৮১ রানের সেই মহাকাব্যিক ইনিংসের পথে ওয়ার্নকে গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন লক্ষন। ২০০০ সালে সিডনিতে খেলেছিলেন ১৬৭ রানের আরেকটি স্মরণীয় ইনিংস। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট-ওয়ানডে মিলিয়ে তার সেঞ্চুরি ১০টি। ব্যাটিংয়ে তিনি স্পিন খেলার মাস্টারক্লাস মেলে ধরেছেন প্রায়ই।

তবে ওয়ার্নের বিবেচনায় লক্ষন কাটা পড়েছেন সৌরভকে জায়গা দিতে গিয়ে, “ ওই পজিশনে আমি গাঙ্গুলিকে বেছে নিয়েছি, কারণ আমি তাকে দলের অধিনায়ক হিসেবে চাই। এজন্যই ওকে নিয়েছি, বাদ পড়তে হয়েছে লক্ষনকে।”

স্পিনে হরভজন সিং ও অনিল কুম্বলের থাকা অনুমিতই। কপিল দেবের বিপক্ষে কেবল নিজের অভিষেক সিরিজেই খেলেছেন ওয়ার্ন। তার পরও একাদশে রেখেছেন কপিলকে। ওই সিরিজে অবশ্য কপিল দুর্দান্ত বোলিং করেছিলেন।

কপিলের সঙ্গে একাদশের আরেক পেসার জাভাগাল শ্রিনাথ। উইকেট-কিপার হিসেবে নয়ন মঙ্গিয়ার থাকাও অনুমিত। উইকেটের পেছনে যতটা দক্ষ ছিলেন মঙ্গিয়া, উইকেটের সামনে ততটা নয়। তবে ৪৪ টেস্টের ক্যারিয়ারে একমাত্র সেঞ্চুরি করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেই, ১৯৯৬ সালে দিল্লিতে ওপেন করতে নেমে ১৫২।

শুধু একটি সংস্করণে নয়, ওয়ার্নের এই একাদশ সব সংস্করণ মিলিয়েই।

ওয়ার্নের সেরা ভারতীয় একাদশ: বিরেন্দর শেবাগ, নভোজোত সিং সিধু, রাহুল দ্রাবিড়, শচিন টেন্ডুলকার, মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন, সৌরভ গাঙ্গুলি (অধিনায়ক), কপিল দেব, নয়ন মঙ্গিয়া (উইকেট-কিপার), হরভজন সিং, অনিল কুম্বলে, জাভাগাল শ্রিনাথ।