বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শুক্রবার ৪-০ গোলে জিতেছে সাইফ স্পোর্টিং। ইয়াসিন আরাফাত দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ইকেচুকে কেনেথ। দ্বিতীয়ার্ধে জোড়া গোল করেন জন ওকোলি।
১২ ম্যাচে টানা তিন ও সব মিলে সাত জয় পাওয়া দলটি ২২ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে। সমান ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বাদশ স্থানে আছে ব্রাদার্স।
ম্যাচে প্রথম আক্রমণেই গোল পায় সাইফ। ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের থ্রু পাস ডি-বক্সে
পেয়ে প্রায় একই সঙ্গে পা চালান সাইফের
আরাফাত ও ব্রাদার্সের ডিফেন্ডার মন্নু মিয়া। মন্নুর শটে
বল আরাফাতের পা হয়ে কিছুটা বাঁক খেয়ে জাল খুঁজে পায়। গোলরক্ষক জাফর সরদার বুঝেই উঠতে পারেননি কিছু।
চলতি লিগে এটি দ্বিতীয় দ্রুততম গোল। গত শুক্রবার রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস অ্যান্ড সোসাইটির বিপক্ষে
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের ১-১ ড্র ম্যাচে
মাহদুদ হোসেন ফাহিমের ২৪ সেকেন্ডের মাথায়
করা গোলটি সবচেয়ে দ্রুততম।
১৯তম মিনিটে গোছালো আক্রমণ থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করে সবশেষ ফেডারেশন কাপের রানার্সআপ দলটি। গোলরক্ষক পাপ্পু হোসেনের বাড়ানো বল ধরে ডান দিক দিয়ে এক ছুটে প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন রহিম উদ্দিন। গায়ের সঙ্গে সেঁটে থাকা ডিফেন্ডারের পাশ দিয়ে এই ফরোয়ার্ডের কাট ব্যাকে কেনেথের প্লেসিং শট ঠিকানা খুঁজে পায়।
৭২তম মিনিটে রিয়াদুল হাসান রাফির লং বল ধরে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বক্সে ঢুকে নিখুঁত শটে লক্ষ্যভেদ করেন ওকোলি।
৮৪তম মিনিটে আরাফাতের লং বল দুই ডিফেন্ডারের ফাঁক গলে বেরিয়ে গিয়ে নিয়ন্ত্রণে নেন ওকোলি। গোলরক্ষক ছুটে এসে পা ছোঁয়ালেও শেষ রক্ষা হয়নি। বিনা
বাধায় অনায়াসে বল জালে জড়ান এই নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড।
দিনের অন্য ম্যাচে, মুন্সিগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস অ্যান্ড সোসাইটি। ১২ ম্যাচে তিন জয় ও চার ড্রয়ে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে অষ্টম স্থানে আছে তারা। লিগে জয়হীন থাকা আরামবাগ ১ পয়েন্ট নিয়ে আছে লিগ টেবিলের তলানিতে।
১২ ম্যাচে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে বসুন্ধরা কিংস। সমান ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে আবাহনী লিমিটেড। ১১ ম্যাচে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব।