শুক্রবার
ঢাকায় নিজের সরকারি বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “বিএনপির এক নেতা দেশে আরেকটি ১৫ অগাস্ট ঘটানোর যে
ইংগিতপূর্ণ ও উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে দেশবাসী বিক্ষুব্ধ। এই বক্তব্য বিএনপির ফ্যাসিবাদি মানসিকতা,
ষড়যন্ত্র এবং খুনের রাজনীতির চরিত্র স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।”
গত মঙ্গলবার বিকালে বিএনপির
রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশে দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর
রহমান মিনুর ওই বক্তব্য নিয়ে ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ
সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশাও ইতোমধ্যে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
দৈনিক জনকণ্ঠেরে প্রতিবেদন অনুযায়ী, মিনু সেদিন ওই
সমাবেশে বলেছিলেন, “আজ রাত, কাল আবার
সকাল নাও হতে পারে। ৭৫ মনে নাই?”
সে
প্রসঙ্গ ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, “ওয়ার্কার্স
পার্টির ফজলে হোসেন বাদশা এবং রাজশাহী মহানগর
আওয়ামী লীগ এ বিষয়ে প্রতিবাদ করেলেও বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো সুস্পষ্ট বক্তব্য দেওয়া
হয়নি, তহলে কি ধরে নেব যে এটি বিএনপির দলীয় বক্তব্য? জনগণ আশা করে- বিএনপি এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য স্পষ্ট করবে।”
১৯৭৫
সালের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা এবং ২০০৪ সালের ২১ অগাস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা ‘একই ষড়যন্ত্রের
ধারাবাহিকতা’ ছিল মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “বিএনপি নেতার এ বক্তব্যে তাদের খুনের রাজনীতির স্বরূপ
উন্মোচিত হয়েছে।
“এই বক্তব্য থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়, বিএনপি এখনো ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করছে। এ ষড়যন্ত্রের জাল দেশ-বিদেশে
বিস্তৃত, তাদের বক্তব্য লন্ডনের ছক অনুযায়ী গোপন পরিকল্পনা
বাস্তবায়নের অংশ কিনা তাও খতিয়ে দেখা হবে।”
কাদের
বলেন, “ইতোমধ্যে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ
ওই বক্তব্য প্রত্যাহারের জন্য ৭২
ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে, আশা করছি, কেন্দ্রীয় বিএনপি তাদের অবস্থান স্পষ্ট করবে।”
বর্তমান
সরকার ‘নির্বাচিত নয়’, আন্দোলনে
সরকারের পতন হবে- বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের প্রতিবাদ
জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “বিএনপির এমন হুমকি-ধামকি আমরা বছরের পর বছর শুনেছি, তাদের
আন্দোলন এবং সরকার পতনের ঘোষণার ইতোমধ্যেই একযুগ পূর্তি হয়ে
গেছে, জনগণ এখনো কোনো আন্দোলন দেখতে
পায়নি রাজপথে।
“ক্ষমতায় থাকাকালে বিএনপি সরকার পরিচালনায় একাধিক বিকল্প ক্ষমতাকেন্দ্র
তৈরি করেছিল। এখনো তাদের আন্দোলনের ডাক আসে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ক্ষমতাকেন্দ্র
থেকে।”
বিএনপি নেতারা
‘অন্ধভাবে’ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিরোধিতা
করছে দাবি করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “আইনটির
যথাযথ প্রয়োগের ক্ষেত্রে কোনো ব্যত্যয় ঘটছে কিনা সে বিষয়টির
প্রতি সরকার কড়া নজর রাখছে। প্রযুক্তির এ যুগে জনস্বার্থেই এ আইন করা হয়েছে,
আইনের অপপ্রয়োগ যাতে না হয় সে বিষয়ে দেওয়া হয়েছে নির্দেশনা।
“বিএনপি এখন এ আইন নিয়ে মানবাধিকারের কথা বলছে, অথচ
৭৫ এর হত্যাকাণ্ডের পর ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে জাতির
পিতার খুনিদের বিচার চাওয়ার পথ বন্ধ করে দিয়েছিল।”