ক্যাটাগরি

মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে গৃহহীন করার অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধে

উলিপুর
উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের ঘোলদারপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে বলে প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা গোলজার
হোসেনের স্ত্রী রাবেয়া বেওয়ার অভিযোগ।

তবে গোলজার
হোসেন ও রাবেয়া বেওয়ার ছেলে আতাউর রহমান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

প্রয়াত
মুক্তিযোদ্ধা বাবার পুরো ভাতা আত্মসাৎ করতে না পারায় ছেলে বাড়ি থেকে বের করে দেন বলে
রাবেয়া বেওয়া অভিযোগ করেন উলিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে।

এই ব্যাপারে
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর-এ-জান্নাত রুমি বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি যেহেতু
পারিবারিক তাই সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ঘটনাটির দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা
করে দিতে বলা হয়েছে।”

রাবেয়া
বেওয়া তার অভিযোগে বলেন, দুই বছর আগে তার স্বামী গোলজার হোসেন মারা যান। চার সন্তানকে
তিনি স্বামীর মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা সমানভাবে বণ্টন করে দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু আতাউর
রহমান ও পুত্রবধূ লিপি বেগম সব টাকা দাবি করে আসছিলেন।

তা না দেওয়ায়
রাবেয়া বেওয়ার উপর তারা মানসিক নির্যাতন চালাতেন বলে অভিযোগ রাবেয়ার।

তিনি বলেন,
গত ৩০ জানুয়ারি আতাউর রহমান ও তার স্ত্রী লিপি বেগম ঝগড়ার এক পর্যায়ে দরজায় তালা ঝুলিয়ে
রাবেয়া বেওয়াকে বাড়ি থেকে বের করে দেন।

তখন তিনি
বাধ্য হয়ে পাশের গুনাইগাছ ইউনিয়নের কৃঞ্চমোহন গ্রামে মেয়ে গোলাপী বেগমের বাড়িতে আশ্রয়
নেন বলে জানান।

রাবেয়া
বলেন, একমাস অপেক্ষা করেও সন্তানের কাছ থেকে সাড়া না পেয়ে ইউএনও বরাবর অভিযোগ করেন।

তিনি স্বামীর
বাড়ি ফিরে যেতে চান এবং ছেলে ও ছেলের বউয়ের ‘অত্যাচারের’ বিচার দাবি করেন।

এদিকে অভিযোগ
অস্বীকার করে ছেলে আতাউর রহমান বলেন, “আমাকে বঞ্চিত করে টাকা-পয়সা, জমি-জমা সব অন্য
তিন সন্তানকে ভাগ করে দেন মা। আমি প্রতিবাদ করায় তিনি রাগ করে বোনের বাড়ি চলে গেছেন।
ঘরের জিনিসপত্র যাতে চুরি না যায় এজন্য মায়ের ঘরে তালা লাগিয়ে দিয়েছি।”

এই বিষয়ে
হাতিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল হোসেন মাস্টার বলেন, “ইউএনও মহোদয়ের কাছ থেকে
নির্দেশনা পেয়েছি। বিট পুলিশিং অফিসারসহ ওই মাকে নিয়ে এসে আমরা সালিশ বৈঠক করব। আশা
করছি বিধবা মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে তার প্রাপ্য সম্মানটুকু আমরা দিতে পারব।”

‘পিতা-মাতার
ভরণ-পোষণ আইন, ২০১৩’-এ বলা হয়েছে, প্রত্যেক সন্তানকে তার পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ নিশ্চিত
করত হবে।

কোনো সন্তান
এই আইন অমান্য করলে অনূর্ধ্ব এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবে; বা উক্ত অর্থদণ্ড অনাদায়ের
ক্ষেত্রে অনূর্ধ্ব তিন মাস কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবে।