ক্যাটাগরি

সেনেগালে বিরোধীদলের নেতা গ্রেপ্তার, বিক্ষোভে নিহত ৪

গত বুধবার থেকে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত চার জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিক্ষোভকারীরা বেশ কয়েকটি গাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে। পুলিশের সঙ্গেও তাদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

বিবিসি জানায়, শুক্রবার সোনকোকে আদালতে উপস্থাপন করা হয়। তার বিরুদ্ধে জনবিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগ আনা হয়েছে। এই নেতার ‍বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগও আছে।

সোনকো তার বিরুদ্ধে উঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার সমর্থকদের দাবি, সোনকোর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত।

শুক্রবার বিক্ষোভকারীদের হুমকি দিয়ে সেনেগালের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ‘প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’।

পশ্চিম আফ্রিকার সবথেকে শান্তিপূর্ণ দেশ সেনেগাল। সেখানে বিরোধীদলের নেতাকে গ্রেপ্তারের কারণে যে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে তা নিয়ে জাতিসংঘও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও ‍গুতেরেস বিক্ষোভকারী এবং পুলিশ উভয় পক্ষকে সহিংসতা এড়িয়ে চলার আহ্বান জানিয়েছেন।

শুক্রবার সোনকোর সমর্থকরা রাজধানী ডাকার এর সড়কগুলোতে অবস্থান নেয়। তারা ‘সোনকোর মুক্তি চাই’ বলে স্লোগান দেয়। তারা সড়কে বিভিন্ন বস্তুতে আগুন ধরিয়ে দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘‘আমরা এই দেশে যেভাবে বসবাস করছি তা অবিশ্বাস্য, এটা খুবই লজ্জাজনক।”

বিক্ষোভের খবর প্রচার করায় দেশটির দুইটি প্রাইভেট টেলিভিশন চ্যানেলের সম্প্রচার ৭২ ঘণ্টার জন্য বন্ধ করে দিয়েছে সরকার।

গত ফেব্রুয়ারিতে ৪৬ বছরের সোনকোর বিরুদ্ধে এক নারী ধর্ষণের অভিযোগ তোলেন। ওই নারী একটি বিউটি সেলুনে কাজ করেন। যা নিয়ে তদন্তের পর বুধবার সোনকোকে গ্রেপ্তার করা হয়।

শুক্রবার সোনকোকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় তার একদল সমর্থক স্লোগান দিতে দিতে পুলিশের গাড়ির সঙ্গে আদালতে হাজির হন।

বিশৃঙ্খলার আশঙ্কায় পুলিশ তাকে ‍অন্য পথে আদালতে হাজির করতে চেয়েছিল। কিন্তু তিনি রাজি হননি। পরে পুলিশ তার বিরুদ্ধে জনবিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগ দায়ের করে।

সোনকো সেনেগালের তরুণদের মধ্যে দারুণ জনপ্রিয়।