রোববার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহিতুল হকের আদালতে শুনানি শেষে মামলাটি দ্রুত বিচার বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের প্রক্রিয়ার কথা জানানো হয়।
আদালতের পিপি রাশিদা সাইদা খানম জানান, গত ৭ ফেব্রুয়ারি বাদীপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই ঘটনায় দায়ের করা ধর্ষণ মামলা, ওই গৃহবধূর স্বামীর কাছে চাঁদাদাবি এবং ছিনতাইয়ের মামলা একসঙ্গে একই আদালতে বিচার করার আদেশ দেয় হাই কোর্ট।
“উচ্চ আদালতের আদেশের পর মামলাটি সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয়।”
তিনি জানান, ইতোমধ্যে এই সংক্রান্ত নথিপত্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। গেজেট প্রকাশের পর মামলাটির পরবর্তী কার্যক্রম শুরু হবে।
গত ১৭ জানুয়ারি আট আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের মাধ্যমে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে টিলাগড় এলাকায় এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে আসা এক গৃহবধূকে ক্যাম্পাস থেকে তুলে ছাত্রাবাসে নিয়ে ধর্ষণ করেন কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী।
এই ঘটনায় পরদিন সকালে ওই গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে শাহপরাণ থানায় ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমানকে প্রধান আসামি করে ছয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও ২-৩ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
মামলায় গ্রেপ্তার আট আসামি আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। বহুল আলোচিত এ মামলায় ৪৯ জনকে সাক্ষী রাখা হয়েছে।
গত বছরের তিন ডিসেম্বর ছাত্রলীগকর্মী সাইফুরসহ আট জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।
অভিযোগপত্রে আট আসামির মধ্যে ছয়জনকে ধর্ষণে সরাসরি জড়িত আর দুইজনকে তাদের সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযোগপত্রে যাদের সরাসরি জড়িত বলা হয়েছে তারা হলেন প্রধান আসামি ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি,তারেকুল ইসলাম তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল ও মিসবাউল ইসলাম রাজন মিয়া।
আর সহযোগী বলা হয় রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান মাসুমকে।