ক্যাটাগরি

নিখোঁজ সেই হাজতি কারাগারের ভেতরেই কি না, খুঁজছে ফায়ার সার্ভিস

কারা অধিদপ্তর গঠিত তদন্ত কমিটি সোমবার কাজ শুরুর প্রথম দিনেই ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের দিয়ে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে এ তল্লাশি শুরু করেন।

তদন্ত কমিটির প্রধান খুলনা বিভাগের কারা উপ-মহাপরিদর্শক মো. ছগীর মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যেহেতু আমরা নিশ্চিত নই যে ওই হাজতি পালিয়ে গেছেন কি না, সেজন্য কারা অভ্যন্তরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের দিয়ে তল্লাশি চালিয়েছি “

কারা অভ্যন্তরে ওই হাজতি নেই বলে নিশ্চিত হলেই তিনি কীভাবে পালালেন, তা নিয়ে কাজ শুরু করবেন বলে জানান তদন্ত কমিটির প্রধান।

তদন্ত শুরুর প্রথম দিনে কমিটির সদস্যরা চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের সঙ্গে বৈঠক করেন।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তারের পর পুলিশ হেফাজতে রুবেল

গত ৬ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তারের পর পুলিশ হেফাজতে রুবেল

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি খুনের মামলার আসামি ফরহাদ হোসেন রুবেল নামে এক যুবক শনিবার সকাল থেকে ‘নিখোঁজ’।

এ ঘটনা জানিয়ে শনিবার সকালে নগরীর কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরির (জিডি) পর রাতে মামলা করে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারা কর্তৃপক্ষ।

ছগীর মিয়া বলেন, “চট্টগ্রাম কারা কর্তৃপক্ষ ‘ম্যানুয়ালি’ বলেছে, ওই হাজতি ‘মিসিং’ আছে। এই মিসিং দুইভাবে হতে পারে ‘জীবিত’ কিংবা ‘মৃত’ অবস্থায়। হয়ত দেখা গেল সে পালাতে গিয়ে কারা অভ্যন্তরে কোথাও আটকে আছে। সেটা দেখার মতো লজিস্টিক সাপোর্ট কারাগারে নেই। সেজন্যই মূলত ফায়ার সার্ভিসের সহায়তা নেওয়া হয়েছে।”

কারাগারের যেসব সিসি ক্যামেরা রয়েছে, তার ফুটেজ সংগ্রহ করেও দেখছে তদন্ত কমিটি।

ছগীর মিয়া বলেন, “একটি সিসি টিভি ক্যামেরায় দেখা গেছে সে ৫টা ১৬ মিনিটে ১৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে হেঁটে নিচে নামছে। কিন্তু কোন দিকে সে গেছে, সেটা আর শনাক্ত করা যায়নি।”

“কেমনে ওই হাজতি মিসিং হয়েছে, সেটাই আগে বের করতে হবে। দেখা গেল, আমরা কাজ করে গেলাম, কিন্তু পালাতে গিয়ে সে কোথাও আটকে মারা গেছে এবং সেখান থেকে দুর্গন্ধ বের হলে আমরা বুঝব সে এখানে আছে। সেটা যেন না হয়,” বলেন তিনি।

হাজতি ‘নিখোঁজের’ ঘটনায় চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার রফিকুল ইসলাম ও ডেপুটি জেলার আবু সাদাতকে প্রত্যাহার এবং দুই কারারক্ষীকে বরখাস্ত করা হয়েছে; পাশাপাশি একজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাও হয়েছে।

ঘটনার তদন্তে গঠিত কমিটিতে কারা উপ-মহাপরিদর্শক মো. ছগীর মিয়ার সঙ্গে রয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারের সুপার ইকবাল হোসেন এবং বান্দরবান জেলা কারাগারের ডেপুটি জেলার ফোরকান ওয়াহিদ।

এই ঘটনায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও আলাদা একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।

আরও খবর

হাজতি ‘নিখোঁজ’: সরানো হল চট্টগ্রাম কারাগারের জেলার ও ডেপুটি জেলারকে

চট্টগ্রামে কারাগার থেকে হাজতি ‘নিখোঁজের’ ঘটনায় মামলা

চট্টগ্রাম কারাগার থেকে হাজতি ‘নিখোঁজ’