ক্যাটাগরি

সাতছড়ির বনে ধ্বংস করল ১৮টি রকেট শেল

সোমবার দুপুরে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে সেনাবাহিনীর হেডকোয়ার্টার ১৭
ইনফ্রেন্টি ডিভিশনের এটিও ক্যাপ্টেন কাজী আরিফ ইশতিয়াক গালিব এবং বোম্ব ডিসপোজাল
টিমের কমান্ডার ক্যাপ্টেন মো. সায়েদ মাহমুদের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের বিশেষ দল এগুলো
ধ্বংস করে।

ক্যাপ্টেন কাজী আরিফ ইশতিয়াক গালিব এ তথ্য জানিয়ে বলেন, দুপুর ১টা ৩৫
মিনিটে এবং বেলা ২টা ১৩ মিনিটে নয়টি করে রকেট শেল ধ্বংস করা হয়।

গত ২ মার্চ বিকেল থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত বিজিবির অভিযানে এ ১৮টি
কামান বিধ্বংসী রকেট শেল উদ্ধার করা হয়।

এ সময় ৫৫ বিজিবির হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল সামীউন্নবী
চৌধুরীসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে ২০১৪ সালের ১ জুন থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন দফা অভিযান
চালিয়ে সেখান থেকে ৩৩৪টি কামান বিধ্বংসী রকেট, ২৯৬টি রকেট চার্জার, একটি রকেট
লঞ্চার, ১৬টি মেশিনগান, একটি বেটাগান, ছয়টি এসএলআর, একটি অটোরাইফেল, পাঁচটি
মেশিনগানের অতিরিক্ত খালি ব্যারেল, প্রায় ১৬ হাজার রাউন্ড বুলেটসহ বিপুল পরিমাণ
গোলাবারুদ উদ্ধার করেছিল র‌্যাব।

এরপর ওই বছরের ১৬ অক্টোবর থেকে চতুর্থ দফার প্রথম পর্যায়ে উদ্যানের বনের
মাটি খুঁড়ে তিনটি মেশিনগান, চারটি ব্যারেল, আটটি ম্যাগাজিন, ২৫০ গুলির ধারণক্ষমতা
সম্পন্ন আটটি বেল্ট এবং উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন একটি রেডিও উদ্ধার করা হয়।

পরে ১৭ অক্টোবর দুপুরে এসএমজি ও এলএমজির ৮ হাজার ৩৬০ রাউন্ড, থ্রিনটথ্রি
রাইফেলের ১৫২ রাউন্ড, পিস্তলের ৫১৭ রাউন্ড, মেশিনগানের ৪২৫ রাউন্ডসহ মোট ৯ হাজার
৪৫৪ রাউন্ড বুলেট উদ্ধার করা হয়।

পঞ্চম দফায় ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি সাতছড়িতে অভিযান পরিচালনা করে
১০টি হাই এক্সক্লুসিভ ৪০ এমএম অ্যান্টি-ট্যাংক রকেট উদ্ধার করা হয়।

ষষ্ঠ দফায় ২০১৯ সালের ২৪ নভেম্বর সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান থেকে ১৩টি রকেট
লঞ্চারের শেলসহ বেশ কিছু বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছিল।