আহত অসিত বাগচিকে (৫০) নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী অসিত বাগচির স্ত্রী ক্ষমা রাণী বাগচি বলেন, সকাল
১১টার দিকে মুখোশ ও হেলমেট পরিহিত অজ্ঞাত দুই যুবক মন্দিরের ভেতরে ঢুকে তার স্বামীর
ওপর অতর্কিত হামলা করে।
“প্রথমে একজন তার ডান পায়ে লোহার রড দিয়ে আঘাত করে। এতে তিনি মেঝেতে পড়ে
যান। এই সময় অপরজন ধারালো লোহার সাবল দিয়ে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করে। আঘাতটি
ডান পায়ের গোড়ালিতে লেগে রক্তাক্ত জখম হয়।”
ক্ষমা রাণী বলেন, স্বামীর ডাকচিৎকারে তিনি বের হলে হামলাকারীরা পালিয়ে
যায়। খবর পেয়ে মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক শৈলেন চন্দ্র ঘটনাস্থলে গিয়ে পুরোহিতকে উদ্ধার
করে হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে পুলিশ কর্মকর্তারা হাসপাতালে গিয়ে অসিতের সঙ্গে কথা বলে
হামলার বিষয়ে খোঁজ খবর নেন।
হামলাকারীরা হেলমেট পরিহিত থাকায় তাদের চেনা যায়নি; তবে যুবক বয়সের হবে
বলে তিনি মনে করেন।
হামলার কোনো কারণ আছে কি না জানতে চাইলে ক্ষমা রাণি বলেন, “মন্দির কমিটির
সহ-সভাপতি মানিক চন্দ্র রায় ২৬ ফেব্রুয়ারি মন্দিরে গিয়ে আমার স্বামীকে চাকরি ছেড়ে দিতে
বলেছেন। চাকরি না ছাড়লে হাড়-হাড্ডি ভেঙে ফেলারও হুমকি দেন। কী কারণে চাকরি ছাড়তে তা
তিনি বলেননি। এর জের ধরেই আজকের ঘটনা ঘটতে পারে।”
সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ফাহমিদা খাতুন বলেন, পুরোহিতের পায়ের
গোড়ালির কাছে একটা কাটা জখম আছে। সেখানে ছয়টি সেলাই দেওয়া হয়েছে।
মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক শৈলেন চন্দ্র বলেন, “কমিটির কিছু লোক সম্প্রতি
পুরোহিতের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছেন বলে শুনেছি। এই কারণে এই ঘটনা ঘটতে পারে।”
সহসভাপতি মানিক চন্দ্র ঘটনার পর থেকে পলাতক থাকায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।
নাটোর সদর থানার ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, তারা লিখিত অভিযোগ পাননি। তবে
খবর পেয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছেন। কী কারণে এই ঘটনা তা অনুসন্ধান
করা হচ্ছে।
তবে পুরোহিতের আঘাত গুরুতর নয়; তিনি সুস্থ আছেন বলে জানান ওসি।