ক্যাটাগরি

গর্ভকালে ডায়াবেটিস হলে

গর্ভকালে রক্তে শর্করার
হার বেড়ে গেলেও সন্তান জন্ম দেওয়ার পর এর উপসর্গগুলো আর দেখা যায় না। নারীর এই স্বাস্থ্য
সমস্যাকে গর্ভকালীন বা জেস্টেশনাল ডায়াবেটিস বলে।

তবে অনেকের বেলাতেই পরে যে কোনো বয়সে
ডায়াবেটিস পুনরায় দেখা দেয়।

এ সময় গর্ভবতী নারীর
পানির তৃষ্ণা বেড়ে যায়, প্রসাবের অতিরিক্ত চাপ দেখা দেয়। এছাড়াও অন্তঃস্বত্তা নারী
দ্রুত ক্লান্তিক বোধ করেন। 

শরীরের ওজন বেশি থাকার কারণে অথবা পরিবারে বাবা-মা অথবা
ভাই-বোনের কারো ডায়াবেটিস থাকলে গর্ভবতী নারীর শরীরেও  ডায়াবেটিস হানা দিতে পারে। আর তাই বংশগত
ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে শুরু থেকেই সচেতন হতে হবে।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, নারীর
গর্ভধারণের চেষ্টার সময় থেকে গর্ভধারণের পরও চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে শরীরে ফলিক এসিড
ঘাটতি পূরণে প্রয়োজনে ওষুধ খাওয়া জরুরি।

যদি গর্ভাবস্থায় স্বাস্থ্য জটিলতা হয় তাহলে নিয়ম
মেনে খাবার গ্রহণ করতে হবে নারীকে। নারীর গর্ভকালের বিভিন্ন সময়ে ক্যালরির চাহিদা
অনুসারে প্রতিদিনের খাবারে থাকতে হবে পরিমাণ মত শর্করা, আমিষ, চর্বি ও ভিটামিন–মিনারেল।

হাঁটাহাঁটি করার পাশাপাশি গর্ভকালে শরীর উপযোগী
ব্যায়ামও চালিয়ে যেতে হবে নিয়মিত।