ক্যাটাগরি

বেল্ট আর মোবাইল ফোনে ধরা পড়ল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গৃহবধূর ‘খুনি’

সোমবার বিকেলে ওই দুই তরুণ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম জাহিদুল ইসলামের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার এসপি আনিসুর রহমান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন।

গ্রেপ্তার একজনের বয়স ১৫ এবং অপর জনের বয়স ১৭ বছর। তারা সম্পর্কে মামাত ভাই। অপ্রাপ্তবয়ষ্ক হওয়ায় তাদের পরিচয় প্রকাশ করা হলো না।

নিহত গৃহবধূ রহিমা বেগম (৪৫) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের শিশাজালালপুর গ্রামের সাহেদ মিয়ার স্ত্রী।

গত শনিবার সকালে বিজয়নগর উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের শিশাজালালপুর গ্রামের এক দিঘিরপাড় থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশের গলায় পেঁচানো বেল্ট আর খোয়া যাওয়া মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে এ দুই তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে বলছে পুলিশ।

এ ঘটনা দিনই নিহতের ছেলে কামাল মিয়া বাদী হয়ে বিজয়নগর থানায় মামলা করেন।

ডিএসবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত রোববার সিলেটের জৈন্তাপুর থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার তথ্যে পরে অপরজনকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে বিজয়নগর থানার ওসি আতিকুর রহমান জানান, গত শুক্রবার দুপুরে বাজারে চাল বিক্রি করে বাড়ি ফিরছিলেন নিহত রহিমা। পথে ওই দুই তরুণ তাকে নির্জন জায়গায় নিয়ে ধর্ষণ করে এবং মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা লুটে নেয়।

পরে তাদের একজনের কোমরের বেল্ট রহিমার গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়।

“আমাদের কাছে হত্যাকাণ্ডের ক্লু ছিল-ভিকটিমের গলায় পেঁচানো বেল্ট ও তার খোয়া যাওয়া মোবাইল ফোন। বেল্টটি দেখে মনে হয়েছিল-এটি অল্প বয়সী কোনো ছেলের। সেই অনুযায়ী আমরা তদন্ত শুরু করি।

“বিজয়নগরের আউলিয়া বাজারের এক মোবাইলের দোকান থেকে ভিকটিমের মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়। এরপর গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যকাণ্ডে জড়িত ওই দুই তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়।”

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে দুই তরুণ হত্যার দায় স্বীকার করে। পরে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জাবানবন্দি দেন তারা বলেন তিনি।