সোমবার গাজীপুরের আদালতে ওই স্বামী হত্যার পর গুম করতে লাশ খণ্ড করার
দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন বলে জয়দেবপুর থানার পুলিশ কর্মকর্তারা জানান।
এর আগে গাজীপুর সদর উপজেলার মনিপুরে আরাবী ফ্যাশন সংলগ্ন তিন জায়গা
থেকে গত রোববার ওই নারীর সাত খণ্ড লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সেই দিনই তার স্বামীকে
মনিপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নিহত রেহানা আক্তার (২০) সুনামগঞ্জের বিশ্বাম্ভরপুর থানার পলাশ
ইউনিয়নের কচিরগাতি গ্রামের আব্দুল মালেকের মেয়ে এবং তার স্বামী জুয়েল আহমেদ (২৪)
একই গ্রামের আব্দুল বাতেনের ছেলে।
জয়দেবপুর থানার এসআই রাকিবুল ইসলাম জানান, রেহানা ও জুয়েল প্রেমে করে দু’বছর
আগে পালিয়ে বিয়ে করেন। তারা মনিপুরে ভাড়া বাসায় থাকতেন। রেহানা ভাড়া বাড়ির পাশে
আরাবী ফ্যাশনে চাকরি করতেন। জুয়েল চাকরি হারিয়ে কাপড়ের ব্যবসা করতেন।
হত্যাকাণ্ডে বিবরণ দিতে গিয়ে রাকিবুল বলেন, তবে সম্প্রতি জুয়েল আগে আরেকটি
বিয়ে করেছিলেন ফাঁস হলে তাদের মধ্যে কলহ বাধে। এর জেরেই গত বৃহস্পতিবার রাতে জুয়েল
স্ত্রীর গলা চেপে ধরে। এতে রেহেনা মারা যায়। লাশ গুম করার জন্য জুয়েল বাজার থেকে ২শ
টাকায় একটি ছোরা কিনে আনেন। ঘরের দরজা বন্ধ করে স্ত্রীর লাশটি সাত খণ্ড করেন তিনি।
কাপড়ে মুড়িয়ে পলিব্যাগ ও বস্তায় ভরে হোতাপাড়া মনিপুরের বাড়ির আশে-পাশে ফেলে দেন।
এ বিষয়ে জয়দেবপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক নাজমুল হুদা জানান, রোববার
দুপুরে স্থানীয়রা রেহেনার খণ্ডিত লাশ দেখে পুলিশে ফোন দেয়। সেই সন্ধ্যায় জুয়েলকে
আটক করে পুলিশ।
জুয়েলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তাদের ভাড়া বাড়ির আশপাশে তল্লাশি চালিয়ে
রেহেনার সাত খণ্ড লাশ উদ্ধার করা হয় বলেন তিনি।
এ ব্যাপারে নিহতের ভাই হোসাইন শহিদ জয়দেবপুর থানায় মামলা করেন।
প্রাথমিকভাবে খুনের বিষয়টি স্বীকার করলে জুয়েলকে সোমবার অতিরিক্ত চিফ
জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয় বলেন তিনি।