মঙ্গলবার চট্টগ্রাম
মহানগর দায়রা জজ ও বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক শেখ আশফাকুর রহমানের আদালতে গোলজার
বেগম আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন।
দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল
হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে আদালত তাকে কারাগারে
পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।”
এ মামলায় অন্য তিন
আসামি হলেন- গোলজার বেগমের স্বামী ঢাকায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) এসআই
নওয়াব আলী, চট্টগ্রাম কর অঞ্চল-১ এর অতিরিক্ত সহকারী কর কমিশনার (অবসরপ্রাপ্ত) বাহার
উদ্দিন চৌধুরী এবং কর পরিদর্শক দীপঙ্কর ঘোষ।
এক কোটি ৩৪ লাখ ৯৯
হাজার ৮৯৬ টাকা জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলাটি করেছে দুদক।
গোলজার বেগম মাছ চাষ
করে ওই অর্থের মালিক হয়েছেন বলে দাবি করেন দুদকের কাছে। কর কর্মকর্তারাও মাছ চাষের
তথ্য দেন প্রতিবেদনে।
মামলার এজাহারে গোলজার
বেগম ও তার স্বামীকে প্রথমে আসামি করা হয়েছিল জানিয়ে দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক বলেন,
“পরে তদন্ত শেষে অভিযোগপত্রে দুই কর কর্মকর্তাসহ চারজনকে আসামি করা হয়।
“আদালত অভিযোগপত্র
গ্রহণ করে ২২ ফেব্রুয়ারি চার আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।”
১৯৯২ সালে পুলিশের
কন্সটেবল পদে যোগ দেয়া নওয়াব আলীর বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার কেকানিয়ায়।
দুদকের তদন্তে নওয়াব
আলীর নামে বাড়ি এবং গোলজার বেগমের নামে সীতাকুণ্ডে জমি, নগরীতে ফ্ল্যাট, জমি ও মাইক্রোবাসের
সন্ধান মেলে।
দুদকে জমা দেয়া সম্পদ
বিবরণীতে গোলজার বেগমের নামে মিরসরাই উপজেলার ইছাখালীতে একটি মাছের প্রকল্প দেখানো
হয়। কিন্তু দুদকের তদন্তে সেখানে কোনো মাছ চাষ প্রকল্পের সন্ধান মেলেনি বলে অভিযোগপত্রে
উল্লেখ করা হয়।
আইনজীবী মাহমুদুল হক
জানান, আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন অবৈধ উপায়ে অর্জিত সম্পদে স্ত্রীর নামে সম্পত্তি কেনা
হয় বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।