ক্যাটাগরি

বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ নারী শারীরিক বা যৌন সহিংসতার শিকার: ডব্লিউএইচও

মঙ্গলবার ডব্লিউএইচও পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

নারীদের প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্থাটি বিভিন্ন দেশের সরকারকে নির্যাতনের শিকার নারীদের জন্য সেবার মানের আরো উন্নতি এবং নারী-পুরুষের মধ্যে আর্থিক বৈষম্য দূর করার আহ্বান জানিয়েছে।

শুধুমাত্র আর্থিকভাবে স্বাবলম্বি না হওয়ায় অনেক নারী ও মেয়ে পরিবারের সদস্যদের দ্বারা নিপীড়নের শিকার হওয়ার পরও ওই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে পারে না। 

ডব্লিউএইচওর কর্মকর্তারা বলেন, ছেলেশিশুদের স্কুলেই সমঝোতার ভিত্তিতে পারষ্পরিক সম্পর্কের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া এবং পরষ্পরের সম্মতিতে যৌন সম্পর্ক গড়ার বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া উচিত।

ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গ্যাব্রিয়াসুস বলেন, ‘‘বিশ্বের সব দেশে এবং সব সাংস্কৃতিতে নারীদের উপর নৃশংসতা খুবই নিয়মিত চিত্র। যার ফলে লাখ লাখ নারী এবং তাদের পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কোভিড-১৯ মহামারীর সঙ্গে নারী নির্যাতন আরো বেড়ে গেছে।”

ডব্লিউএইচওর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সের ৩১ শতাংশ নারী শারীরিক বা যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। সংখ্যায় যা ৮৫ কোটি ২০ লাখের বেশি। ২০০০ সাল থেকে ২০২১৮ সালের মধ্যে জরিপ করে এ তথ্য পাওয়া যায়।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্বামী বা সঙ্গীর হাতেই নারীরা সবচেয়ে বেশি নিপীড়নের শিকার হন। গরীব দেশগুলোতে এই নির্যাতনের চিত্র রীতিমত হতাশাজনক। তবে নিপীড়িত নারীর প্রকৃত সংখ্যা জরিপে উঠে আসা সংখ্যার থেকেও অনেক বেশি বলে মনে করে ডব্লিউএইচও। কারণ, যৌন নিপীড়নের ‍অনেক ঘটনাই অজানা থেকে যায়।

কোনো কোনো অঞ্চলে অর্ধের বেশি নারীই কোনো না কোনো ভাবে নিপীড়নের শিকার বলে মনে করেন ডব্লিউএইচওর এই জরিপের লেখক ক্লাউডিয়া গার্সিয়া-মরেনো।

তিনি রয়টার্সকে বলেন, প্রশান্তমহাসাগরীয় দ্বীপাঞ্চল, সাব সাহারা আফ্রিকা এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে নারী নির্যাতন বেশি হয়।

সবথেকে কম নিপীড়নের শিকার হন ইউরোপের নারীরা, ২৩ শতাংশ।

তরুণ বয়স থেকেই নিপীড়নের শুরু হয় বলেও জানায় ডব্লিউএইচও।